Thank you for trying Sticky AMP!!

শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় শিক্ষক রায়হান শরীফের শাস্তি চেয়ে তিন দিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের সামনের সড়কে

মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার ঘোষণা

সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় ক্লাস বর্জন করা শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে তাঁরা ক্লাসে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ আমিরুল হোসেন চৌধুরী।

কলেজর শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীরা সবাই মিলে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে শিক্ষক রায়হান শরীফকে চাকরিচ্যুত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসের ফাঁকেই আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে।’

Also Read: তৃতীয় দিনের মতো ক্লাস বর্জন করে শিক্ষার্থীদের অবস্থান, শিক্ষক রায়হানের রিমান্ডের আবেদন

আজ বুধবার বেলা তিনটার দিকে মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আমিরুল হোসেন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের বুঝিয়েছি, অভিযুক্ত সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একদিকে তাঁকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন, অন্যদিকে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এমন অবস্থায় ক্লাস না করলে শিক্ষার্থীদেরই পড়াশোনার ক্ষতি হবে। পরে তাঁরা আবার ক্লাসে ফেরার কথা জানিয়েছেন।’

অধ্যক্ষ আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, এমন ঘটনা ভবিষ্যতে যেন আর না ঘটে। তাঁদের নিরাপত্তার কথাও তাঁরা বলেছেন। তাঁদের এ বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
গত সোমবার বিকেলে মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিনকে গুলি করেন শিক্ষক রায়হান শরীফ। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে রায়হানের হেফাজত থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৮১টি গুলি, ৪টি ম্যাগাজিন ও ১২টি বিদেশি চাকু উদ্ধার করে। এ ঘটনায়  রায়হান শরীফকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দূর-রে–শাহওয়াজ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

Also Read: শিক্ষার্থীকে গুলির ঘটনায় শিক্ষক রায়হান সাময়িক বরখাস্ত

পুলিশ জানিয়েছে, রায়হানের বিরুদ্ধে গতকাল মঙ্গলবার সদর থানায় দুটি মামলা হয়েছে। একটির বাদী গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীর বাবা আবদুল্লাহ আল আমিন। তিনি ছেলেকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ এনেছেন। এই মামলায় সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক বিল্লাল হোসেনের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন রায়হান। অপর মামলাটি করেন সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক আবদুল ওয়াদুদ।

এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

Also Read: কথায় কথায় তিনি পিস্তল বের করতেন, থামাননি কেউ