Thank you for trying Sticky AMP!!

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সজীব শেখ

মূল হোতা ছাত্রলীগ নেতাসহ ২ আসামি তিন দিনের রিমান্ডে

কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীর চর থেকে ৯ টুকরা লাশ উদ্ধার হওয়া মিলন হোসেন (২৭) হত্যা মামলায় মূল হোতা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সজীব শেখসহ দুই আসামিকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানা এ আদেশ দেন।

এর আগে গত রোববার বেলা সাড়ে তিনটা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত গ্রেপ্তার ছয়জনের মধ্যে চারজন সদর আমলি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। বাকি দুজনের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিল পুলিশ। আজ ওই আবেদনের শুনানি হয়। এদিকে গত দুই দিনে হত্যাকাণ্ডে জড়িত নতুন কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ বলছে, জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

তিন দিনের মঞ্জুর হওয়া দুই আসামি হলেন শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি সজীব শেখ (২৪) ও শহরের হাউজিং সি ব্লকের ইফতি খান। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া অন্য চারজন হলেন কুমারগাড়া এলাকার ফয়সাল আহমেদ (২৫), দেশওয়ালীপাড়ার কাজী লিংকন (৩২), সদর উপজেলার কান্তিনগর গ্রামের জনি প্রামাণিক (২১), হাউজিং ডি ব্লকের সজল ইসলাম (১৮)।

Also Read: বাসা ভাড়া নিয়ে অপকর্ম করে আসছিলেন সজীবেরা, মুখ খোলেননি কেউ

নিহত মিলন হোসেন

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কুষ্টিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাজু মহন সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ছয়জন আসামি কারাগারে আছেন। সজীব ও ইফতিকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। বুধবার তাঁদের কারাগার থেকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হবে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

Also Read: পদ্মার চর থেকে যেভাবে উদ্ধার হলো যুবকের লাশের ৯ টুকরা

কুষ্টিয়ায় মিলন হোসেন নামের এক যুবকের নয় টুকরা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় স্বজনদের আহাজারি। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে

গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পদ্মা নদীর চরে অভিযান চালিয়ে মিলনের লাশের টুকরাগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। মিলন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাহিরমাদি গ্রামের মাওলা বক্স সরদারের ছেলে। স্ত্রী মিমি খাতুনকে নিয়ে তিনি শহরের হাউজিং এলাকার ই ব্লকে ভাড়া থাকতেন। টেক্সটাইল প্রকৌশলে পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতেন। গত বুধবার সকালে সজল নামের এক যুবকের ফোনে বাসা থেকে বের হয়ে তিনি আর ফেরেননি। ওই দিন রাত নয়টায় মিলনের স্ত্রী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে লাশ উদ্ধার হলে শনিবার রাতে নিহত মিলনের মা শেফালি খাতুন বাদী হয়ে কারও নাম উল্লেখ না করে একটি হত্যা মামলা করেন।

Also Read: পদ্মার চরের ৪ জায়গায় পুঁতে রাখা ছিল যুবকের লাশের ৯ টুকরা