Thank you for trying Sticky AMP!!

নেত্রকোনার বারহাট্টায় স্কুলছাত্রী মুক্তি হত্যার প্রতিবাদে ও গ্রেপ্তার কাওছার মিয়ার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে শহরের ছোটবাজার এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে

নেত্রকোনায় স্কুলছাত্রী মুক্তি হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন, আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি

নেত্রকোনার বারহাট্টায় স্কুলছাত্রী মুক্তি বর্মণকে (১৫) কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও গ্রেপ্তার কাওছার মিয়ার (১৮) দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে শহরের ছোটবাজার এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে জেলা মহিলা পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেয়।

মুক্তি বর্মণ উপজেলার প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামের নিখিল বর্মণের মেয়ে ও প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। সে উদীচী বারহাট্টা শাখা কমিটির সাধারণ সদস্য, নারী প্রগতির ইয়ুথ গ্রুপ ও কংস থিয়েটারের সদস্য ছিল। অভিযুক্ত কাওছার একই গ্রামের মো. শামসু মিয়ার ছেলে।

Also Read: স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ২৫ ঘণ্টা পর মামলা

আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তাহেজা বেগমের সভাপতিত্বে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নারীনেত্রী অধ্যাপক নেলী বড়ুয়া, জেলা সুজনের সভাপতি শ্যামলেন্দু পাল, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান, রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের সভাপতি পূরবী কুণ্ড, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক মো. শহিদুল্লাহ, প্রত্যাশা সাহিত্য গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক চিন্ময় তালুকদার, জলসিঁড়ি পাঠাগারের পরিচালক দীপক সরকার, আবু আব্বাছ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. নাজমুল কবির সরকার, সাংবাদিক চন্দন চক্রবর্তী প্রমুখ।

শ্যামলেন্দু পাল বলেন, ‘আমাদের দেশে এখনো নারীদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নেই। একটি মেয়ে স্কুল থেকে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেনি। তাকে বখাটে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এর চেয়ে ভয়ানক ঘটনা তো কল্পনাও করা যায় না। আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

Also Read: মুক্তিকে হত্যা করতে কাওছার ২০০ টাকা দিয়ে দা কেনেন: পুলিশ

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাওছার মিয়া দীর্ঘদিন ধরে মুক্তি বর্মণকে উক্ত্যক্ত করে আসছিলেন। গত মঙ্গলবার বিদ্যালয় থেকে সহপাঠীদের সঙ্গে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে মুক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেন কাওছার। গতকাল বুধবার বিকেলে ডিবি পুলিশ গ্রামের একটি জঙ্গল থেকে তাঁকে আটক করে। ওই দিন সন্ধ্যায় নিহত মুক্তির বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন কুমার সাহা দুপুর ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার কাওছার মিয়াকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

Also Read: স্কুলছাত্রী মুক্তির মাথা ও ঘাড়ে ৫টি কোপ দেন বখাটে কাওছার