Thank you for trying Sticky AMP!!

টেকনাফ-উখিয়া সৈকতে দেড় হাজার ডিম ছেড়ে সমুদ্রে ফিরল ১৪টি কাছিম

উখিয়ার ছেপটখালী সৈকতে পাওয়া কাছিমের ডিমগুলো ফোটানোর জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে

কক্সবাজারের টেকনাফ-উখিয়া উপজেলার ৪টি সমুদ্রসৈকত এলাকায় আবারও ১৪টি মা কাছিম ডিম দিয়ে সাগরে ফিরে গেছে। গতকাল সোমবার রাত থেকে আজ মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত টেকনাফের বাহারছড়ার শীলখালীতে ৪টি, টেকনাফ সদরের হাবিরছড়ায় ২টি, উখিয়ার ছেপটখালীতে ৬টি ও মাদারবুনিয়ায় ২টি মা কাছিম ১ হাজার ৫৯৭টি ডিম ছেড়েছে।

নেচার অ্যান্ড লাইফ প্রকল্পের কর্মকর্তা অসীম বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, বেসরকারি সংস্থা কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার নিজেদের হ্যাচারিতে বাচ্চা ফোটানোর উদ্দেশ্যে এসব ডিম সংগ্রহ করেছে। ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) অর্থায়নে পরিচালিত নেচার অ্যান্ড লাইফ প্রকল্পের মাধ্যমে সামুদ্রিক কচ্ছপের বংশবিস্তারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সৈকতে ডিমপাড়া মা কাছিমগুলো অলিভ রিডলে সি টার্টেল বা জলপাইরঙা সাগর কাছিম প্রজাতির।

Also Read: টেকনাফ সৈকতে ৩৪৯ ডিম ছেড়ে সমুদ্রে ফিরল তিনটি অলিভ রিডলি কাছিম

২ ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত টেকনাফের বাহারছড়ার বড় ডেইল, জাহাজপুরা, শীলখালী, উত্তর শীলখালী, টেকনাফ সদরের লম্বরী ঘাট, রাজারছড়া, উখিয়ার ছেপটখালী, মাদারবুনিয়া ও মনতলিয়া এলাকা থেকে ৪৪টি মা কাছিম উদ্ধার করার পাশাপাশি ৫ হাজার ৭টি ডিম সংগ্রহ করে ৫টি হ্যাচারিতে সংরক্ষণ করা হয়েছে। আগামী ৪৫ থেকে ৫৫ দিনের মধ্যে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

নেচার অ্যান্ড লাইফ প্রকল্পের কর্মকর্তা অসীম বড়ুয়া জানান, খাবার গ্রহণ, বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে মিলন থেকে শুরু করে সব কাজ সমুদ্রে করলেও ডিমপাড়ার সময় স্ত্রী কাছিম সমুদ্রসৈকতের রৌদ্রোজ্জ্বল ও নির্জন বালিয়াড়িতে জায়গা খুঁজে নেয়। বাচ্চা ফোটার জন্য সুনির্দিষ্ট তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়, সমুদ্রতট যার জন্য উপযুক্ত।