টেকনাফ সৈকতে ৩৪৯ ডিম ছেড়ে সমুদ্রে ফিরল তিনটি অলিভ রিডলি কাছিম

টেকনাফের রাজারছড়া সৈকতে পাওয়া ডিমগুলো বাচ্চা ফোটানোর জন্য হ্যাচারিতে সংরক্ষণ করা হচ্ছেছবি: প্রথম আলো

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার তিনটি সৈকতে আবারও তিনটি মা কাছিম ডিম দিয়ে সাগরে ফিরে গেছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত টেকনাফের বাহারছড়ার উত্তর শীলখালীতে একটি, টেকনাফ সদরের লম্বরী ঘাটে একটি ও রাজারছড়ায় একটি মা কাছিম ৩৪৯টি ডিম ছেড়েছে।

নেচার অ্যান্ড লাইফ প্রকল্পের কর্মকর্তা অসীম বড়ুয়া প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বেসরকারি সংস্থা কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার নিজেদের হ্যাচারিতে বাচ্চা ফোটানোর উদ্দেশ্যে এসব ডিম সংগ্রহ করেছে। ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) অর্থায়নে পরিচালিত নেচার অ্যান্ড লাইফ প্রকল্পের মাধ্যমে সামুদ্রিক কচ্ছপের বংশবিস্তারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সৈকতে ডিম পাড়া মা কাছিমগুলো অলিভ রিডলি সি টার্টেল বা জলপাইরঙা সাগর কাছিম প্রজাতির।

আরও পড়ুন

২ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত টেকনাফের বাহারছড়ার বড় ডেইল, জাহাজপুরা, শীলখালী, উত্তর শীলখালী, টেকনাফ সদরের লম্বরী ঘাট, রাজারছড়া এবং উখিয়ার ছেপটখালী, মাদারবুনিয়া ও মনতলিয়া এলাকা থেকে ৩০টি মা কাছিম উদ্ধার করার পাশাপাশি ৩ হাজার ৪১৬টি ডিম সংগ্রহ করে পাঁচটি হ্যাচারিতে সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

নেচার অ্যান্ড লাইফ প্রকল্পের কর্মকর্তা অসীম বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, খাবার গ্রহণ, বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে মিলন থেকে শুরু করে সব কাজ সমুদ্রে করলেও ডিম পাড়ার সময় স্ত্রী কাছিম সমুদ্রসৈকতের রৌদ্রোজ্জ্বল ও খুবই নির্জন বালিয়াড়িতে জায়গা খুঁজে নেয়। কেননা বাচ্চা ফোটার জন্য সুনির্দিষ্ট তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়, সমুদ্রতট যার জন্য উপযুক্ত।

আরও পড়ুন