Thank you for trying Sticky AMP!!

সদরঘাটে লঞ্চের চারটি রুটে ঈদযাত্রীদের চাপ বেশি

আজ সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সদরঘাট টার্মিনাল থেকে লঞ্চ ছেড়ে গেছে ৩২টি। সব লঞ্চ যাত্রী পরিপূর্ণ ছিল। আজ সকাল ১০টার দিকে সদরঘাটে পটুয়াখালীগামী পূবালী–১২ লঞ্চে

নদীপথে দক্ষিণ অঞ্চলের চারটি রুটে আজ বুধবার সকাল থেকে ঘরমুখী যাত্রীদের ভিড় বেশি দেখা গেছে। পটুয়াখালী, চাঁদপুর, ভোলার চরফ্যাশন, দৌলতখানসহ কয়েকটি রুটে সকাল থেকে যাত্রীরা লঞ্চে এসে বসে থাকেন।

ঢাকা নদীবন্দরের নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনাল থেকে লঞ্চ ছেড়ে গেছে ৩২টি, আর দক্ষিণাঞ্চল থেকে টার্মিনালে লঞ্চ এসেছে ৪৪টি। বন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চগুলোয় যাত্রী পরিপূর্ণ ছিল।

Also Read: গাজীপুরের চন্দ্রায় বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে ঘরমুখী মানুষ

পটুয়াখালীগামী পূবালী-১২ লঞ্চের যাত্রী মিনহাজ হোসেন বলেন, ‘পটুয়াখালী যাওয়ার উদ্দেশ্যে আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সদরঘাট টার্মিনালে আসি। লঞ্চে গিয়ে দেখি ডেকে বসার কোনো জায়গা নেই। কোনোমতে ছেলেমেয়ে নিয়ে ডেকের এক পাশে জায়গা নিয়েছি। কী করব, বাড়িতে যেতে হবে।’

তবে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার সদস্য ও পূবালী লঞ্চের পরিচালক আবদুল খালেক বলেন, ‘আজ আমার দুটি লঞ্চ পটুয়াখালী ও বগার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। যাত্রীর চাপ তেমন নেই।’

পটুয়াখালী, চাঁদপুর, ভোলার চরফ্যাশন, দৌলতখানসহ কয়েকটি রুটে সকাল থেকে ঘরমুখী যাত্রীদের ভিড় বেশি দেখা গেছে। আজ সকাল ১০টার দিকে ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনালে

সদরঘাট পুলিশ কন্ট্রোল রুমের পরিদর্শক মো. শাহ আলম জানান, তাঁরা ভোর থেকেই টার্মিনাল এলাকায় দায়িত্বে আছেন। যাত্রীদের কোনো রকম হয়রানি ও কোনো ধরনের অনিয়ম এবং অপতৎপরতা রোধে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএর নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. কবির হোসেন বলেন, ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের সেবায় বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তৎপর। কোনো ধরনের যাত্রী হয়রানি বরদাশত করা হবে না। এ ছাড়া কোনো অবস্থাতেই লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না এবং বৈরী আবহাওয়া সতর্কতা মেনে লঞ্চ পরিচালনার জন্য লঞ্চচালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।