Thank you for trying Sticky AMP!!

ওপারে থেকে আসা গুলি পড়ছে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের বাড়িঘরে। আজ শনিবার সকাল আটটার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাং এলাকায়

গুলি-মর্টার শেলের আওয়াজে ঘুম ভাঙল টেকনাফ সীমান্তের মানুষের

গুলি-মর্টার শেলের আওয়াজে ঘুম ভেঙেছে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং সীমান্তের মানুষের। আজ শনিবার ভোরে মিয়ানমারের কুমিরখালী সীমান্তচৌকির কাছে গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এপারের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিল ও উনচিপ্রাং এলাকার বিভিন্ন বাসাবাড়িতে গুলি এসে পড়েছে।

উনচিপ্রাং এলাকার বাসিন্দা মাহমুদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, আজ ভোর পাঁচটা থেকে সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি শুরু হয়। কিছুক্ষণ পরপর মর্টার শেলের ভারী বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। এ সময় কেঁপে ওঠে এপারের বসতবাড়ি। আজ সকালে কয়েকটি বাড়ির উঠানে গুলি পাওয়া গেছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।

Also Read: উখিয়া সীমান্তে পড়ে আছে কয়েকটি লাশ

এদিকে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল সীমান্ত ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু শান্ত ছিল। সেখানকার মানুষ গতরাতে কোনো গোলযোগের খবর পাননি।

বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি তুমব্রু বিওপি সেতুতে আরেকটি মর্টার শেল পাওয়া যায়। এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৯টায়

২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ চলছে। ইতিমধ্যে বিজিপিকে হটিয়ে তুমব্রু রাইট ক্যাম্প ও ঢেঁকিবুনিয়া সীমান্তচৌকি আরাকান আর্মি দখলে নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রোববার দিবাগত রাত তিনটা থেকে দুই পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে। সোমবার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরের ওপর মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হন। নিহত দুজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ।

Also Read: মিয়ানমার নিয়ে সৃষ্ট উদ্বেগ লিখিতভাবে জাতিসংঘকে জানাবে বাংলাদেশ

এ ছাড়া আরকান আর্মির হামলার মুখে সে দেশের বিজিপি, সেনাবাহিনী, শুল্ক কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সংস্থার অন্তত ৩৩০ জন বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে আশ্রয় নেন। তাঁরা বর্তমানে বিজিবির হেফাজতে রয়েছেন। আকাশ কিংবা নদীপথে তাঁদের সে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা চলছে।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপারে হামলা জোরদার হয়। এর রেশ এসে পড়ছে বাংলাদেশে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরের সংঘর্ষের গোলাবারুদ সীমান্তের এপারে এসে পড়ে প্রকম্পিত হচ্ছে লোকালয়। তিনি আরও বলেন, ওপারের গোলাগুলি ও ভারী বিস্ফোরণে খুব আতঙ্কে আছে এলাকার লোকজন। কেউ কেউ সীমান্ত এলাকা ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করছেন।

Also Read: ঘুমধুমে বিকট শব্দে অবিস্ফোরিত মর্টার শেল নিষ্ক্রিয়, ওপার থেকে গুলি