Thank you for trying Sticky AMP!!

মানিকগঞ্জ সদরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে জাগীর সেতুর এক লেনের ‘এক্সপানশন জয়েন্টের’ সংযোজনকাজ চলছে। এতে অন্য লেন দিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করায় সেতুর উভয় পাশে আটকা পড়ছে যানবাহন। আজ সোমবার সকাল নয়টার দিকে জাগীর এলাকায়

জাগীর সেতুর এক লেন বন্ধ, অপর লেনে ধীরে যানবাহন চলায় ভোগান্তি

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে জাগীর সেতুর এক লেনে সংস্কারকাজ চলমান থাকায় লেনটিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে অপর লেন দিয়ে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে। এতে সেতুর উভয় পাশে যানবাহনগুলোকে আটকে থাকতে হচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন এই মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী, যানবাহনের চালক ও শ্রমিকেরা।

গত তিন দিন সরকারি ছুটির পর আজ সোমবার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ঢাকাগামী ও মানিকগঞ্জগামী যাত্রী এবং যানবাহনের চাপ অন্যান্য দিনের চেয়ে কিছুটা বেশি। ফলে গত কয়েক দিনের চেয়ে আজ বেশি সময় সেতু এলাকায় যানবাহন আটকে থাকছে।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) মানিকগঞ্জের উপবিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার থেকে সেতুর এক্সপানশন জয়েন্ট সংযোজনের কাজ শুরু করা হয়। সেতুটিতে মোট ১২টি এক্সপানশন জয়েন্ট রয়েছে।

আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটির দুটি লেনের উত্তর পাশের লেনে ১২টি এক্সপানশন জয়েন্টে স্টিলের পাত বসানোর কাজ করছেন শ্রমিকেরা। এখন সিমেন্ট ও পাথরের ঢালাইয়ের কাজও শেষ পর্যায়ে। এ কাজের কারণে সেতুর এক পাশে যানবাহনগুলোকে দাঁড় করিয়ে রেখে অপর পাশের যানবাহনগুলোকে সেতুর দক্ষিণ পাশের লেন দিয়ে চলাচল করানো হচ্ছে। এতে সেতুর দুই প্রান্তে মানিকগঞ্জগামী ও ঢাকাগামী যানবাহনগুলো ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় করে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় আটকে থাকতে হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রী, যানবাহনের চালক ও শ্রমিকেরা।

Also Read: জাগীর সেতুর দুই প্রান্তে গাড়ির দীর্ঘ জট, যাত্রীদের ভোগান্তি

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এপিক ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন সেতুটির সংস্কারকাজ করছে। নির্মাণকাজের শ্রমিকদের সুপারভাইজার মো. জনি প্রথম আলোকে বলেন, সেতুটির উত্তর পাশের ১২টি এক্সপানশন জয়েন্টে স্টিলের পাত বসানো সম্পন্ন হয়েছে। সেতুর এসব সংযোগস্থলগুলোতে ঢালাইয়ের কাজ আজ দুপুরের আগেই শেষ হবে।

মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে সাভারের নবীনগরগামী যাত্রীসেবা পরিবহনের চালক লোকমান হোসেন বলেন, ঈদের আগে গাড়ি ও যাত্রীর চাপ বেশি থাকে। ঈদের পরে ব্রিজের কাজ ধরলে ভালো হতো।

সেতুর পশ্চিম প্রান্তে আটকে থাকা ঢাকাগামী সেলফি পরিবহনের বাসের যাত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। তিন দিন পর আজ অফিস খোলা। প্রায় ২০ মিনিট ধরে ব্রিজ পারাপারের অপেক্ষায় আছি। তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হলেই সবার জন্যই মঙ্গল।’

সওজের মানিকগঞ্জের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুল কাদের জিলানী বলেন, আগামী পাঁচ দিনে দক্ষিণ পাশের এক্সপানশন জয়েন্টে স্টিলের পাত বসানোর কাজ সম্পন্ন হবে।

Also Read: ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সেতুর সংস্কারকাজ, দুই প্রান্তে যানজট