Thank you for trying Sticky AMP!!

একে মশকরা, তামাশা বলছেন পাঠকেরা

জ্বালানি তেল

ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম লিটারপ্রতি ৩৪ থেকে ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ৫ টাকা কমানোকে ‘মশকরা’, ‘তামাশা’ আখ্যায়িত করেছেন প্রথম আলো অনলাইনের পাঠকেরা। তাঁরা এ–ও বলেছেন, সামান্য দাম কমানোয় বাসভাড়া কমবে না। তবে সুবিধা পাবেন গাড়ির মালিকেরা।

পাঠকেরা এসব মন্তব্য করেন প্রথম আলো অনলাইনে জ্বালানি তেলের দাম কমানো নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে। সোমবার জ্বালানি মন্ত্রণালয় ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম লিটারপ্রতি ৫ টাকা কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর আগে ৫ আগস্ট রাতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা, পেট্রলের দাম ৪৪ বাড়িয়ে ১৩০ টাকা এবং অকটেনের দাম ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করে।

এর আগে রোববার সরকার ডিজেলে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে, আর ৫ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহার করা হয়।

প্রথম আলো অনলাইনে ভূইয়া লেনিন নামের একজন পাঠক লিখেছেন, ‘৪৬ টাকা বাড়িয়ে ৫ টাকা কমাল। বাজারে এই ৫ টাকার কোনো প্রভাব পড়বে? সেই লাভ হলো বিত্তবানদেরই, ব্যবসায়ীদেরই। সরকার ব্যবসায়ী তোষণ বন্ধ না করলে এসব ভানুমতীর খেলা চলবেই।’

Also Read: ডিজেলের দাম ৩৪ টাকা বাড়ানোর পর কমল ৫ টাকা

মোহাম্মদ আবদুন নাফি নামের এক পাঠক লিখেছেন, ‘বিদ্যুৎমন্ত্রী আমাদের সাথে মজা নেন।’ আরেক পাঠক নাম প্রকাশ না করে জ্বালানি তেলের দাম সামান্য কমানোকে ‘মশকরা’ আখ্যায়িত করেন। জিল্লুর জুয়েল নামের এক পাঠক লিখেছেন, ‘এটা তামাশা।’

বাস, ট্রাক ও কিছু তিন চাকার যানবাহন ডিজেলে চলে। কিছু বিলাসবহুল গাড়ির ইঞ্জিনও ডিজেলের। আর মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কার চলে পেট্রল ও অকটেনে।

সাজ্জাদ ইসলাম নামের এক পাঠক লিখেছেন, ‘একেই বলে গরু মেরে জুতা দান করা। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল ৩৫ টাকা আর ৪৬ টাকা, অথচ দাম কমল ৫ টাকা।

কেউ কেউ সামান্য হারে দাম কমানোর পক্ষেও মত দিয়েছেন। নবীন নামের এক পাঠক লিখেছেন, যত টাকাই কমাক, তাতে সরকারবিরোধী মানুষের কিছু আসে যায় না। তারা উল্টাপাল্টা কথা বলেই যাবে।

Also Read: এটা ‘গরু মেরে জুতা দান’ ছাড়া আর কিছু নয়: মান্না

রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত ‘লিটারে ৫ টাকা কমছে ডিজেল-পেট্রল-অকটেন-কেরোসিনের দাম’ প্রতিবেদনটিতে ৭১ জন পাঠক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মন্তব্য করেছেন।

সেলিম রেজা নামের এক পাঠক লিখেছেন, ‘দাম বাড়ানোয় যাদের সুবিধা হইছে, এই ৫ টাকা তাদের পকেটেই যাবে। পাবলিক খেলার বলই থাকবে।’

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামও বেড়ে গিয়েছিল। এখন দাম কমানোয় এসব পণ্যের দাম কমবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন করেছেন অনেকে।

রহমান নামের একজন পাঠক লিখেছেন, ‘লিটারে ৪৭ টাকা বাড়িয়ে মাত্র ৫ টাকা কমানো হলো! জনগণের সে রকম সুবিধা হলো। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই পাঁচ টাকার সুফল জনগণ পাবে কি না? বিভিন্ন যানবাহনের ভাড়া অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছে, নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গিয়েছে...এসব ভাড়া আর কমবে কি?’

Also Read: ঘোড়াটা আগে বাঁধা উচিত ছিল