Thank you for trying Sticky AMP!!

টাঙ্গাইলে পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু, এমএসএফের ক্ষোভ

মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাঁশতৈল ফাঁড়িতে পুলিশের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় লেবু মিয়া (৫৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে এ ঘটনার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানায় মানবাধিকার সংগঠনটি।

মির্জাপুরে উপজেলার বাঁশতৈল গ্রামের সখিনা আক্তার (৪২) নামের এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সখিনার সাবেক স্বামী বাঁশতৈল গ্রামের মফিজুর রহমান (৪৭) ও লেবু মিয়াকে (৫০) আটক করে বাঁশতৈল ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। আটক ব্যক্তিদের রাতে ফাঁড়ির হাজতখানায় রাখা হয়। সেখানেই লেবু মিয়ার মৃত্যু হয়।

পুলিশের ভাষ্য, রাতের কোনো এক সময় লেবু মিয়া গলায় রশি লাগিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ভোর সাড়ে চারটার সময় ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা তাঁকে বাথরুমের রডের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। অপর দিকে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় ব্যক্তিদের অভিযোগ, জিজ্ঞাসাবাদের নামে ফাঁড়িতে লেবু মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে ও ফাঁসিতে আত্মহত্যার বিষয়টি পরিকল্পিত। এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যক্তিরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেওয়ায় অবরোধ তুলে নেন স্থানীয় লোকজন।

এমএসএফের বিবৃতিতে বলা হয়, থানা কর্তৃপক্ষ এ ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছে, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। বলা হচ্ছে, ভোরে ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা লেবু মিয়াকে বাথরুমের রডের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। অপর দিকে লেবু মিয়ার ভাতিজা সাদ্দাম হোসেনের অভিযোগের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে বলা যায়, হাজতখানার বাথরুমে রশি কোথা থেকে এল। তা ছাড়া হাজখানাতে অন্যান্য আটক ব্যক্তি থাকেন এবং রাতে হাজতখানার সামনে পুলিশ সদস্যরা কর্তব্যরত থাকেন। এ অবস্থায় কেউ ফাঁস নেবেন আর কেউ টের পাবে না, সেটা একেবারেই অসম্ভব। এরপরও জানা যায়, ফাঁড়ির পার্শ্ববর্তী বসবাসরত লোকজন রাতে ফাঁড়ির ভেতর চিৎকারের শব্দ শুনেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, থানা কর্তৃপক্ষ ফাঁড়িতে মৃত্যুর ঘটনার যে ব্যাখ্যা দিয়েছে, তা মেনে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। হেফাজতে গ্রেফতার ব্যক্তির মৃত্যু একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ অমানবিক ঘটনা। হেফাজতে যেকোনো ব্যক্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করা পুলিশের আইনি দায়িত্ব। পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু যেভাবেই হোক না কেন, মৃতের লাশের সুষ্ঠু ময়নাতদন্ত করে তা প্রকাশ করতে হবে। পুলিশের বিরুদ্ধে আনা নির্যাতনের অভিযোগ ও হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। তাই দ্রুততার সঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

Also Read: মির্জাপুরে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ, সড়ক অবরোধ