পঞ্চগড়ের এসপির কাছে প্রতিবেদন চেয়েছে মানবাধিকার কমিশন
পঞ্চগড়ে কলেজছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় সুরাহা না পেয়ে এক বাবার ‘আত্মহত্যার’ ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কমিশনের উপপরিচালক রবিউল ইসলামের সই করা অফিস আদেশে পঞ্চগড়ের জেলা পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে এই প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বিচার না পেয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রকৃত ঘটনা কী তা উদঘাটন করা জরুরি। আত্মহত্যার জন্য কারো দায়িত্বে অবহেলা আছে কিনা কা নিরূপণ করা জরুরি। এজন্য পঞ্চগড়ের এসপিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলোয় পঞ্চগড়ে মেয়ের শ্লীলতাহানির বিচার না পেয়ে বাবার ‘আত্মহত্যা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পঞ্চগড়ে কলেজছাত্রী (২০) মেয়েকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) বিচার দিয়ে সুরাহা না পেয়ে এক বাবা (৫০) ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। বুধবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নে ওই ব্যক্তির গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্বজনদের অভিযোগ, মেয়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যানের গাফিলতির কারণে তিনি বিচার পাননি। এ জন্য হতাশা থেকে তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। তবে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র রায় এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এই ঘটনায় গত শনিবার ‘আত্মহত্যাকারী’ ব্যক্তির বড় ছেলে বাদী হয়ে আটোয়ারী থানায় বাবাকে আত্মহত্যা প্ররোচনায় এবং তাঁর বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা করেন। দুটি মামলায় শ্লীলতাহানির সঙ্গে জড়িত পলাশ চন্দ্র বর্মণসহ চারজনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন
-
‘বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের নামান্তর’
-
যুক্তরাষ্ট্রে শিখ নেতা পান্নুন হত্যাচেষ্টায় ভারতের ‘র’ জড়িত
-
‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক বেশি অভিযুক্ত’
-
চট্টগ্রামে ২০০ থেকে ১৫০০ টাকায় দেখা যাবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ
-
ফিলিপাইনে গরমে জেগে উঠেছে ডুবে যাওয়া শহর