পিটার হাসের হুমকিদাতা চেয়ারম্যান মুজিবুলকে বরখাস্ত
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হুমকি দিয়ে বক্তব্য দেওয়া চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে তাঁকে এই শাস্তি দেওয়া হয়।
সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার স্বাক্ষরিত এই আদেশে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪(৪) (খ) (ঘ) ধারা অনুযায়ী চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মুজিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেছে।
এতে আরও বলা হয়, বাঁশখালী উপজেলাধীন চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী। তাই স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪(৪) (খ) (ঘ) ধারা অনুযায়ী উল্লিখিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে তাঁর স্বীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে আদেশের অনুলিপি দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, মুজিবকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এখন তাঁর জায়গায় প্যানেল চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করবেন।
গত ৬ নভেম্বর মুজিবুল হক প্রকাশ্য জনসভায় পিটার হাসকে হুমকি দেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ‘অবরোধ ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে’ চাম্বল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সভায় মুজিবুল হক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের উদ্দেশে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য দেন। সমাবেশে তাঁর দেওয়া সাড়ে ১৮ মিনিটের বক্তব্য ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় মুজিবুল হক বলেন, ‘পিটার হাস বলছেন, এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। পিটার হাস, আমরা আপনাকে ভয় পাই না। আমরা মোটা চালের ভাত খাই। আপনি বিএনপির ভগবান। কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগ ইমান বেচি না। আপনাকে এমন মারা মারব, বাঙালি কত দুষ্ট, তখন বুঝতে পারবেন।’
মুজিবুল হকের এই বক্তব্যকে ‘সহিংস বক্তব্য’ বলে উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
আরও পড়ুন
-
বিজেপির আসন বাড়বে কি না, সেই পরীক্ষা হয়ে গেল চতুর্থ দফায়
-
আদালতে অসুস্থ হয়ে পড়েন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার
-
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নীতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে প্রভাব ফেলেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
-
ডোনাল্ড লু বিএনপির কাছে এতটা গুরুত্বপূর্ণ নন: নজরুল ইসলাম খান
-
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেমড সেলে রাখা যাবে না