Thank you for trying Sticky AMP!!

জানুয়ারিতে প্রবাসী আয় এসেছে ১৯৬ কোটি ডলার

দেশে সদ্য সমাপ্ত জানুয়ারি মাসে আবারও বিপুল পরিমাণ টাকা পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই মাসে তাঁরা ১৯৬ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১৬ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)।

আগের বছরের একই সময়ে প্রবাসীরা ১৬৪ কোটি ডলার বা ১৩ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা পাঠিয়েছিলেন। গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় এবারে একই মাসে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বেড়েছে ২ হাজার ৭২০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে প্রবাসীরা সব মিলিয়ে ১ হাজার ৪৯০ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৮৬ কোটি ডলার বেশি।

Also Read: এত প্রবাসী আয় কোথা থেকে আসছে

গত অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ১ হাজার ১০৪ কোটি ডলার। এতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের ৭ মাসে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৫ শতাংশ। এদিকে প্রবাসীদের ওপর ভর করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুত এখন ৪ হাজার ২৯১ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, করোনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক দেশে ফিরে এলেও বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা বাড়ছে।

গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকার যখন প্রবাসী আয় বাড়াতে ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করে, তখন থেকেই প্রবাসী আয়ে গতি আসতে থাকে। অবৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো কমতে থাকে। করোনার মধ্যে প্রবাসী আয়ে বড় ধরনের ধাক্কা লাগার আশঙ্কা করা হলেও তাতে তেমন প্রভাব পড়েনি। বরং প্রতি মাসে আগের রেকর্ড ভাঙছেন প্রবাসীরা।

Also Read: প্রবাসী আয় বাড়ছেই, রিজার্ভ বেড়ে ৪৩ বিলিয়ন ডলার

প্রতি মাসেই প্রবাসী আয় বাড়া প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, করোনায় প্রবাসীদের আয় কমে গেলেও পরিবার-পরিজনের কাছে তাঁরা ঠিকই টাকা পাঠাচ্ছেন। আগে অবৈধ পথে (হুন্ডি) বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স এলেও সেটি করোনাকালে বন্ধ হয়ে গেছে। এর ওপর প্রবাসী আয় বিতরণ সহজ করে দিয়েছে এজেন্ট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, ব্যাংকের উপশাখাগুলো। এর ফলে বৈধ পথে এখন রেমিট্যান্স বেশি আসছে।