শেয়ারবাজারে ৮ হাজার সূচক পর্যন্ত মিলবে সর্বোচ্চ ঋণ
সর্বোচ্চ ঋণসীমার পরিধি বাড়িয়ে শেয়ারবাজারে নতুন করে বার্তা দিল বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির নতুন আদেশে বলা হয়েছে, প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ হাজার পয়েন্টে না যাওয়া পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে ১০০ টাকার বিনিয়োগের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৮০ টাকার ঋণসুবিধা বহাল থাকবে।
গতকাল শুক্রবার রাতে নতুন এ আদেশের বিষয়ে বিএসইসির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে; যদিও আদেশটি জারি করা হয়েছে গত বৃহস্পতিবার।
এমন এক সময়ে বিএসইসি শেয়ারবাজারে সর্বোচ্চ ঋণসুবিধার পরিধি বাড়িয়েছে, যখন বাংলাদেশ ব্যাংক সব ব্যাংকের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সব তথ্য দৈনিক ভিত্তিতে জমা দিতে বলেছে।
এমন এক সময়ে বিএসইসি শেয়ারবাজারে সর্বোচ্চ ঋণসুবিধার পরিধি বাড়িয়েছে, যখন বাংলাদেশ ব্যাংক সব ব্যাংকের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সব তথ্য দৈনিক ভিত্তিতে জমা দিতে বলেছে। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই নির্দেশনা জারির পর গতকাল শুক্রবার বিএসইসি ঋণসংক্রান্ত নতুন নির্দেশনাটি আনুষ্ঠানিকভাবে জারি করেছে।
এত দিন বিএসইসির নির্দেশনা ছিল, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭ হাজার অতিক্রম করলেই শেয়ার কেনার বিপরীতে সুদ কমে ১০০ টাকার বিপরীতে ৫০ টাকা (১ অনুপাতে ০.৫) হয়ে যাবে। আর সূচকের ৭ হাজার পয়েন্ট পর্যন্ত ঋণ মিলবে ১০০ টাকার বিপরীতে ৮০ টাকা (১ অনুপাতে ০.৮)। ঋণের সর্বোচ্চ এ সীমা এখন বহাল রয়েছে শেয়ারবাজারে। কিন্তু ডিএসইএক্স সূচকটি এখন ৬ হাজার ৭০০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সূচকটি ৭ হাজার থেকে কয়েক শ পয়েন্ট দূরে অবস্থান করছে।
এত দিন বিএসইসির নির্দেশনা ছিল, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭ হাজার অতিক্রম করলেই শেয়ার কেনার বিপরীতে সুদ কমে ১০০ টাকার বিপরীতে ৫০ টাকা হয়ে যাবে।
Also Read: রেকর্ডে ২০১০ ছাড়াচ্ছে ২০২১
এ অবস্থায় ঋণসংক্রান্ত বিএসইসির আগের নির্দেশনাটি বহাল থাকলে সূচক ৭ হাজার পয়েন্ট ছোঁয়ার আগেই ঋণ সমন্বয়ে শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা ছিল। সে শঙ্কা থেকে সর্বোচ্চ ঋণসুবিধার পরিধি সূচকের ৭ হাজার পয়েন্ট থেকে বাড়িয়ে ৮ হাজার পয়েন্টে উন্নীত করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শেয়ারবাজার–সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক নির্দেশনাটি যাতে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে না পারে, সে জন্য সর্বোচ্চ ঋণের পরিধি বাড়িয়েছে বিএসইসি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এর ফলে একদিকে ঋণ সমন্বয়ে জোরপূর্বক বিক্রি বা ফোর্সড সেলের চাপ থাকবে না, অন্যদিকে সূচকের এ অবস্থায়ও নতুন করে সর্বোচ্চ হারে ঋণ নেওয়ার সুযোগ থাকবে। আবার যাঁরা এরই মধ্যে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন, সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকলে তাঁদেরও ঋণ গ্রহণের সক্ষমতা বাড়বে।
সব মিলিয়ে আর্থিক বাজারের দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুই নির্দেশনা শেয়ারবাজারে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, তা জানতে আপাতত অপেক্ষা করতে হবে আগামী সোমবার পর্যন্ত। কারণ, সাপ্তাহিক ছুটি ও জাতীয় শোক দিবসের ছুটি মিলিয়ে কাল রোববার পর্যন্ত শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকবে।