Thank you for trying Sticky AMP!!

মাদ্রাসা অধিদপ্তরের কত শূন্য পদের তালিকা পেল এনটিআরসিএ

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) শূন্য পদের তালিকা পাঠিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। এর আগে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর শূন্য পদের তালিকা পাঠিয়েছে। ওই দুই প্রতিষ্ঠানের যাচাই করা শূন্য পদের তালিকা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এনটিআরসিএ। তবে তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান তাদের কাজ শেষ করলেও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর বেসরকারি স্কুল ও কলেজের শূন্য পদের তালিকা যাচাই করার কাজ শেষ করতে পারেনি।

নটিআরসিএ জানিয়েছে, মাউশির যাচাই শেষ হলে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে চতুর্থ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারে প্রতিষ্ঠানটি।

মাদ্রাসা অধিদপ্তরের শূন্য পদের তালিকা পাঠানোর বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ শামসুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এনটিআরসিএ আমাদের ৩৭ হাজার ৬৬৪ জন শিক্ষকের নিয়োগের তথ্য পাঠিয়েছিল। যাচাই করার পর তথ্যে মিল না থাকা বা অন্যান্য কারণে ১ হাজার ১০২ জনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগের জন্য ৩৬ হাজার ৫৬২ জনের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে।’

এনটিআরসিএ সূত্র বলছে, তারা বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা থেকে শূন্য পদের তালিকা আহ্বান করেছিল। কাজটি করা হয়েছে অনলাইনের মাধ্যমে। অনলাইন থেকে পাওয়া সেসব শূন্য পদের তালিকা তারা পেয়েছে। ওই তালিকা ঠিক আছে কি না, তা যাচাই করতে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করা হয়েছে।

Also Read: এনটিআরসিএ: শূন্য পদের তালিকা যাচাই করছে তিন প্রতিষ্ঠান

এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর বেসরকারি স্কুল ও কলেজের শূন্য পদের তালিকা যাচাই করার কাজ শুরু করে। একই সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের শূন্য পদের তালিকা যাচাই-বাছাই করে। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা অধিদপ্তর শূন্য পদের তালিকা যাচাই শেষ করেছে। শুধু মাউশি এখনো শূন্য পদের তালিকা জমা দেয়নি।

এনটিআরসিএতে শিক্ষক নিয়োগের সঙ্গে যুক্ত একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রাথমিকভাবে শূন্য পদের যে তালিকা পান, তাতে বেশ কিছু ভুল থাকে। যেমন কোনো প্রতিষ্ঠানে বাংলা বিষয়ের শিক্ষক দরকার নেই, অথচ বাংলার শিক্ষক চাওয়া হয়েছে। আবার কোনো প্রতিষ্ঠানে তিনজন শিক্ষক দরকার, তারা পাঁচজন শিক্ষক চেয়ে আবেদন করেছে। আবার পদ খালি নেই, এমন প্রতিষ্ঠান শিক্ষক চেয়েছে। এসব বিষয় আসলে এনটিআরসিএ তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করতে হিমশিম খায়। আবার অনলাইনেও অনেকে তথ্য পূরণে ভুল করে। এ জন্য নিজ নিজ অধিদপ্তরকে প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যগুলো যাচাই করতে বলা হয়েছে। এতে সমন্বয়ের কাজে সুবিধা হয়। তিন প্রতিষ্ঠানের যাচাই করা সব তালিকা এনটিআরসিএতে এলেই প্রকৃত শূন্য পদের সংখ্যা জানা যাবে।

যাচাই দেরির বিষয়ে আরেক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ‘কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা অধিদপ্তর শূন্য পদের তালিকা যাচাই শেষ করেছে। মাউশি এখনো সেই তালিকা পাঠায়নি।’

Also Read: নন-ক্যাডারের শূন্য পদ নির্দিষ্ট করল জনপ্রশাসন, বেশি ৪০তম বিসিএসে

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাউশির মাধ্যমিক শাখার পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, কাজের অগ্রগতি হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি ইএমআইএস সেল শাখায় যোগাযোগ করতে বলেন। পরে ইএমআইএস সেল শাখার প্রোগ্রামার মুহাম্মদ জামিলুর রহমানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব কাগজ এখনো এসে পৌঁছায়নি। শেষ হলেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মো. এনামুল কাদের খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাদ্রাসা ও কারিগরির যাচাই করা শূন্য পদের তালিকা এসেছে। এখন মাউশি থেকে তালিকা এলে নিয়োগের অন্য কার্যক্রমগুলো চালানো যাবে।’

Also Read: এনটিআরসিএ: এখনো দুই প্রতিষ্ঠানের শূন্য পদের তালিকা যাচাই শেষ করেনি