Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগপ্রত্যাশী ১৩ লাখের বেশি

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পেতে ১৩ লাখের বেশি প্রার্থী আবেদন করেছেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) জানিয়েছে, ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন চাকরিপ্রত্যাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করেছেন।

এদিকে ফি পরিশোধ করা সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন করা প্রার্থীরা আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তথ্য সংশোধনের এ সুযোগ পাবেন।

গত ২৫ অক্টোবর থেকে অনলাইনে আবেদন শুরু করেন প্রার্থীরা। আবেদনপ্রক্রিয়া শেষ হয় গত ২৪ নভেম্বর রাতে। এর পরের ৭২ ঘণ্টা সময় ছিল পেমেন্ট করার জন্য। পেমেন্ট শেষে ১৩ লাখের বেশি প্রার্থী এ পদের জন্য আবেদন করেছেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) সহকারী পরিচালক নিয়োগ হিসেবে কর্মরত সিনিয়র সহকারী সচিব আতিক এস বি সাত্তার গতকাল রোববার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, চাকরিপ্রত্যাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করেছেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন। পেমেন্ট জমা পড়া সব প্রার্থী আবেদন করেছেন বলে ধরা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে পদের সংখ্যা উল্লেখ না থাকলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩২ হাজার ৫৭৭ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এর মধ্যে প্রাক্‌-প্রাথমিকে ২৫ হাজার ৬৩০ জন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূন্য পদে ৬ হাজার ৯৪৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

২০০৯-১৯ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৬৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মুজিব বর্ষে সব শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে সম্ভব হয়নি। তবে সেপ্টেম্বরে নিয়োগপ্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। অক্টোবরে এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলো।

মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগের পর সেপ্টেম্বরে কোটামুক্ত রেখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রাথমিকের শিক্ষক পদটি ১৩তম গ্রেড হয়েছে।

Also Read: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ আবেদনে তথ্য সংশোধন শুরু

সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে মোট উত্তীর্ণ হন ৫৫ হাজার ২৯৫ জন, নিয়োগ দেওয়া হয় ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে। এর আগে একই বছর ২০১৪ সালের স্থগিত পরীক্ষাটিও নেওয়া হয়। ওই পরীক্ষায় মোট উত্তীর্ণ হন ২৯ হাজার ৫৫৫ প্রার্থী। এর মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হয় ৯ হাজার ৭৬৭ জনকে। এ দুই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও চূড়ান্ত নির্বাচিত হননি ৫৬ হাজার ৯৩৬ প্রার্থী। উত্তীর্ণ এসব প্রার্থী ২০১০-১১ সালের মতো প্যানেল নিয়োগ চান। তবে মন্ত্রণালয় জানিয়ে দিয়েছে, প্যানেলে নিয়োগ দেওয়া হবে না। নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।

রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা বাদে দেশের বাকি সব জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পেরেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে। সহকারী শিক্ষকদের বেতন হবে জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫-এর গ্রেড ১৩ অনুযায়ী ১১০০০ থেকে ২৬৫৯০ টাকা।