Thank you for trying Sticky AMP!!

দূরশিক্ষণের সুবিধা সবার কাছে পৌঁছেনি, বাড়ছে বৈষম্য

ছবি: প্রতীকী

করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে এখন টেলিভিশন, রেডিও বা অনলাইনের মাধ্যমে দূরশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে। ভবিষ্যতেও শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষার পাশাপাশি পরিপূরক হিসেবে দূরশিক্ষণ কার্যক্রম ব্যবস্থা রাখতে হবে। কিন্তু এসবের সুবিধা এখনো বড় অংশের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ফলে বৈষম্য বাড়ছে।

এক ভার্চুয়াল ‘শিক্ষা সংলাপে’ অংশ নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে এসব কথা বলেছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। করোনাভাইরাস চলাকালীন দূরশিক্ষণের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক এই শিক্ষা সংলাপের আয়োজন করে শিক্ষা নিয়ে কাজ করা দেশের বেসরকারি সংস্থাগুলোর মোর্চা ‘গণসাক্ষরতা অভিযান’।

Also Read: করোনা পরিস্থিতিতে দূরশিক্ষণ: একটি পর্যালোচনা

সংলাপে অংশ নেওয়া শিক্ষাবিদেরা মনে করেন, যাদের প্রয়োজনীয় ডিভাইস কেনার সামর্থ্য নেই, তাদের বিনা মূল্যে সেটি দিতে হবে। সম্ভব না হলে বিনা সুদে ঋণ দিয়ে হলেও এই সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সুবিধাও নিশ্চিত করতে হবে।

সংলাপে অংশ নেওয়া জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির কো-চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ খলীকুজ্জমান আহমেদ বলেন, দূরশিক্ষণ কার্যক্রম যেসব শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছানো গেছে তারা সমাজের ওপরতলার। এতে বৈষম্য বেড়েছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বেই বৈষম্য ও দারিদ্র্য বেড়েছে। তাই যাদের কাছে এই সুবিধা এখনো পৌঁছেনি তাদের মধ্যে এই সুবিধা সম্প্রসারণ করতে হবে। তা না হলে তারা পিছিয়ে পড়বে।
গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, দূরশিক্ষণ কার্যক্রমের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট ও সুলভে ডিভাইস দিতে হবে। দারিদ্র্য জনগোষ্ঠী চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় সুবিধা দিতে হবে।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমদ বলেন, দূরশিক্ষণ কার্যকর বিকল্প নয়। তবে এটি পরিপূরক হিসেবে থাকতে হবে। সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি দূরশিক্ষণ শিক্ষা দেওয়ার দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে হবে।

করোনাকালে টেলিভিশন, রেডিও বা অনলাইনের মাধ্যমে দেওয়া শিক্ষা কার্যক্রমের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জের তথ্য তুলে ধরেন সরকারের এ টু আই কর্মসূচির নীতি বিশেষজ্ঞ আফজাল হোসেন সারোয়ার ও শিক্ষাবিষয়ক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। তাঁরা বলেন, নিয়মিত টিভি, রেডিও ও ইন্টারনেটভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম দেখে প্রায় ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী। তাঁদের সুপারিশ হলো, ভবিষ্যতে সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি দূরশিক্ষণ শিক্ষার মিশ্র ব্যবস্থা থাকতে হবে। এ ছাড়া মূল্যায়ন ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে চিন্তা করা, শিক্ষকদের আরও প্রস্তুত করা এবং শিক্ষার জন্য সাশ্রয়ী ইন্টারনেট ব্যবস্থা থাকতে হবে।

সংলাপে অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন, সাংসদ আরমা দত্ত, প্রবীণ শিক্ষণ নেতা কাজী ফারুক আহমেদ, ইউনিসেফের শিক্ষাবিষয়ক ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মহসীন, ঢাকা আহসানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক এহছানুর রহমান, শিক্ষক আলম নাশারাহ, আফরিনা হক, সেন্টার ফর ডিজঅ্যাবিলিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের জাহাঙ্গীর আলম, সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রকল্প পরিচালক শাহীন ইসলাম,জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা, গণসাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক কে এম এনামুল হক প্রমুখ।

Also Read: প্রাথমিক শিক্ষায় কার্যকর দূরশিক্ষণ প্রয়োজন