প্রাথমিক শিক্ষায় কার্যকর দূরশিক্ষণ প্রয়োজন

করোনাভাইরাসের প্রকোপ চলাকালীন দূরশিক্ষণকে কার্যকর করার মাধ্যমে শিশুদের বিদ্যালয় ও পাঠের সঙ্গে সংযুক্ত রাখতে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। রিসার্চ ফর অ্যাডভান্সমেন্ট অব কমপ্লিট এডুকেশন (রেস) আয়োজিত অনলাইন আলোচনা সভায় বক্তারা এ আহ্বান জানান।

'বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা: কোভিড-১৯ পরবর্তী করণীয়' শীর্ষক এ আলোচনা সভায় বক্তারা চলমান দুর্যোগে শিশুদের পাঠের সঙ্গে সংযুক্ত রাখতে অভিমতের পাশাপাশি কোভিড-১৯ পরবর্তী করনীয় নিয়ে নানা সুপারিশও তুলে ধরেন। শনিবার (৮ মে ) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় সংগঠনটির ফেইসবুক পাতায় এ লাইভ অনুষ্ঠিত হয়।

ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক সাজেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন দেশ ও বিদেশের কয়েকজন গবেষক ও পেশাজীবী। দেড় হাজার দর্শক আলোচনা অনুষ্ঠানটি অনলাইনে সরাসরি উপভোগ করেন এবং মন্তব্যের মাধ্যমে সংযুক্ত হন।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষষক মোহাম্মদ মিজানুর রশিদ বলেন, দুর্যোগকালীন শিক্ষার্থীরা যেন বিদ্যালয় ও তাদের পাঠ্যবই থেকে বিচ্যুত না হয়ে যায় সেদিকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাকর্তৃপক্ষ, শিক্ষক ও অভিভাবকদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি বলেন, টেলিভিশনে যে দূরশিক্ষণ কার্যক্রম চালু আছে সেটি কার্যকরভাবে শিশুর ঘর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের প্রভাষক রাশেদুর রহমান বলেন, বিদ্যালয় বন্ধকালীন শিক্ষকদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে শিক্ষকরা দক্ষ হয়ে ওঠেন এবং কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ভূমিকা রাখতে পারেন।

ভিএসও ইন্টারন্যাশনালের সাবেক ফেলো ও উন্নয়ন গবেষক জাকারিয়া তুহিন বলেন, ভ্যাকসিন আবিস্কার না হলে হয়তো সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতে হবে, সে ক্ষেত্র বড় চ্যালেঞ্জ হলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার সংস্কৃতির অনুকূলে কার্যক্রম জোরদার রাখা।

সভাপতির বক্তব্যে সৌদি আরবের প্রিন্স সাত্তাম বিন আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক শরিফ উদ্দিন বলেন, কোভিড-১৯ এর ফলে সৃষ্ট আর্থিক দুর্দশারকালে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করাই হবে প্রধান চ্যালেঞ্জ। সরকারকে গ্রামাঞ্চলের বিশেষত চর ও হাওরের শিশুদের কথা মাথায় রেখে আর্থিক প্রণোদনা বৃদ্ধি করতে হবে।

আলোচনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান চিত্র তুলে ধরেন মাগুরার বরিসাত ব্যাপারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তানজিনা পিয়াস।