Thank you for trying Sticky AMP!!

যুব সমাজকে কারিগরি দক্ষতায় পারদর্শী করার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর

কারিগরি শিক্ষার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি, প্রচারণাসহ শিক্ষার্থীদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি বিকাশের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক স্কিল ও ইনোভেশন প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে কারিগরি এবং দক্ষতা উন্নয়ন শিক্ষা জাতীয় উন্নয়নের অপরিহার্য অঙ্গ। এই সময়ে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে গেলে যুবসমাজকে কারিগরি জ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতায় পারদর্শী করে তুলতে হবে। তিনি বলেন, ‘স্কিলস ও ইনোভেশন কম্পিটিশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধা, দক্ষতা এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতা উন্নয়নের এই প্রক্রিয়াটি গতিশীল হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এর মাধ্যমে তারা জাতীয় উন্নয়নে আরও বেশি সক্রিয় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।’

গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে কারিগরি শিক্ষার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি, প্রচারণাসহ শিক্ষার্থীদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি বিকাশের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক স্কিল ও ইনোভেশন প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন অ্যাকসেলারেটিং অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং স্কিলস ফর ইকনোমিক ট্রান্সফরমেশন (ASSET) প্রকল্পের আওতায় প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করা হয়।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, দেশের শ্রমিকেরা বিদেশের বাজারে গিয়ে সঠিক বাজারমূল্য পায় না। কারণ, শুধু দক্ষতা থাকলে হবে না, সনদও থাকতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে আহ্বান জানাই আপনাদের জেনারেল স্কিলের পাশাপাশি সফট স্কিলের (কমিউনিকেশন) প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। আপনার দক্ষতা আছে কিন্তু সেটা বুঝিয়ে বলতে না পারলে কাজের ক্ষেত্রে আপনি পিছিয়ে পড়বেন। কারিগরি বা জেনারেল বিষয়ে পড়ালেখা করার পাশাপাশি নির্দিষ্ট একটা বিষয়ের ওপর দক্ষতা অর্জন করলে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে ও বেকারত্বের হাত থেকে মুক্তি মিলবে।

Also Read: মাধ্যমিকের শিক্ষকেরা দুর্গম অঞ্চলে বদলি হলে চাকরি কতদিন করতে হবে

Also Read: এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরাও পেতে যাচ্ছেন বদলির সুযোগ

কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী,  চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, প্রকল্প পরিচালক আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বক্তব্য দেন। এ ছাড়া অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আনোয়ার পাশা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মালেক এবং বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

দিনব্যাপী আয়োজিত এ উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১৮টি কারিগরি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে নির্বাচিত ৫৪টি প্রকল্প প্রদর্শিত হয়। প্রতিযোগিতায় কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের ‘আইওটি বেসড অ্যাপ্লায়েন্স কন্ট্রোল সিস্টেম’ প্রকল্পটি প্রথম স্থান অর্জন করে। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের ‘স্মার্ট ফুট ওভারব্রিজ’ প্রকল্পটি। তৃতীয় স্থান অর্জন করে বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের ‘স্মার্ট একাডেমিক অবকাঠামো’ প্রকল্পটি। এ ছাড়া চতুর্থ স্থান অধিকার করে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের ‘এনভায়রনমেন্টাল ডাটা অ্যানালিস্ট’ প্রকল্পটি।

Also Read: বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যে ১০ দেশে অল্প খরচে পড়তে পারেন