Thank you for trying Sticky AMP!!

‘এলওসি কারগিল’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি

৩৩ নায়ক, ১২ নায়িকা, তবুও ছবিটি সুপার ফ্লপ হয়েছিল

ভারতে একাধিক তারকা নিয়ে অনেক সিনেমাই হচ্ছে। গত বছর মুক্তি পাওয়া লোকেশ কঙ্গরাজের ‘বিক্রম’ যেমন এই তালিকায় আছে, তেমনই বলা যায় চলতি বছর মুক্তি পাওয়া ‘পাঠান’ বা ‘জওয়ান’-এর কথাও। তবে ২০০৩ সালে এমন একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল, যে ছবিতে ছিলেন ৩৩ নায়ক-নায়িকা! ভারতীয় গণমাধ্যম ডিএনএনএ অবলম্বনে জেনে নেওয়া যাক সিনেমাটি সম্পর্কে।

২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি হলো জে পি দত্তের ‘এলওসি কারগিল’। এটি নির্মিত হয়েছিল ১৯৯৯ সালে সংঘঠিত ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে। তারকাবহুল

Also Read: কখনো স্কুলেই যাননি এই নায়িকা

এ ছবিতে প্রধান ও পার্শ্বচরিত্রে ছিলেন ৪৫ নায়ক-নায়িকা।
তাঁদের মধ্যে আছেন সঞ্জয় দত্ত, অজয় দেবগন, সাইফ আলী খান, অভিষেক বচ্চন, নাগার্জুন, আশুতোষ রানা, রাজ বাব্বর, মনোজ বাজপেয়ী, রানি মুখার্জি, কারিনা কাপুর, রাভিনা ট্যান্ডন, এশা দেওলসহ অনেকেই।

তবে পরিচালক অনেক চরিত্রেই নিজের প্রথম পছন্দের অভিনেতা নিতে পারেননি। যেমন সঞ্জয় দত্তের চরিত্রে তিনি চেয়েছিলেন শাহরুখ খানকে, আবার করণ নাথের অভিনীত চরিত্রে চেয়েছিলেন আমির খানকে—কাউকেই পাননি।

‘এলওসি কারগিল’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি

আবার ছবিটিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েও সরে দাঁড়ান রাহুল খান্না ও আরবাজ খান। অন্যদিকে চুক্তিবদ্ধ হয়ে পড়ে বাদ পড়েন জ্যাকি শ্রফ। পরিচালক জে পি দত্ত সালমান খানকেও চেয়েছিলেন সিনেমায়, কিন্তু তাঁকেও পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত তাঁকে প্রস্তাব দেওয়া চরিত্রে দেখা যায় অভিষেক বচ্চনকে।

যুদ্ধ নিয়ে পরিচালক এর আগে প্রশংসিত সিনেমা ‘বর্ডার’ নির্মাণ করেছিলেন ১৯৯৭ সালে। তবে ‘এলওসি কারগিল’ শেষ পর্যন্ত ‘বর্ডার’-এর মতো সাফল্য পায়নি। সমালোচকদের কাছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পায়, বক্স অফিসে হয় সুপার ফ্লপ। অনেক অভিনয়শিল্পী ছাড়াও ‘এলওসি কারগিল’ নিয়ে আলোচনার আরেকটি কারণ ছিল ছবিটির দৈর্ঘ্য।

‘এলওসি কারগিল’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি

৪ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের সিনেমাটি হিন্দি সিনেমার সবচেয়ে দীর্ঘ ছবিগুলোর একটি। তবে বক্স অফিসে ফ্লপ হওয়ায় ‘এলওসি কারগিল’ নিয়ে পরে খুব একটা আলোচনা হয়নি। ফ্লপ হওয়ার কারণে পার্শ্বচরিত্রের অনেক অভিনেতার ক্যারিয়ার এই ছবির সঙ্গেই শেষ হয়ে যায়।