Thank you for trying Sticky AMP!!

‘আমি কিন্তু ডরে ঘরে বসে থাকা মহিলা না’, কার উদ্দেশে বললেন মমতাজ

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে কর্মিসভায় ভোটে কারচুপির অভিযোগ করেন মানিকগঞ্জ-২ আসনে পরাজিত নৌকার প্রার্থী মমতাজ বেগম। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার পূর্ব ভাকুম গ্রামে তাঁর বাসভবনে

নির্বাচন নিয়ে সরব ছিলেন তারকা প্রার্থীরা। কেউ দলীয় মনোনয়ন পেলেও বেশ কয়েকজন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচন উপলক্ষে প্রচারণায় সাড়া ফেললেও শেষ মুহূর্তে তাঁরা ভোটে হেরে যান। এরপর এসব তারকা কেউ কেউ ফিরেছেন গানে। কেউ নিজের মতো করেই দিন কাটাচ্ছেন। কেউ কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পথচলার ঘোষণা দিয়েছেন। এই তারকাদের মধ্যে রয়েছেন সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম, ডলি সায়ন্তনী, চিত্রনায়িকা মাহিয়া। মমতাজ নির্বাচনের পরে ফেসবুকে নীরব হলেও সমর্থনকরা কর্মীদের পাশে রয়েছে। তাদের হয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।

Also Read: তিনবারের সংসদ সদস্য সংগীতশিল্পী মমতাজের হারার কারণ, যা বললেন এলাকাবাসী

মমতাজ বেগম

এবারের নির্বাচনে হারের পর সবচেয়ে বেশি সমালোচনার মধ্যে পড়েছেন তিনবারের সংসদ সদস্য সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম। এলাকায় তাঁর ভালো অবস্থানের কথা শোনা গেলেও শেষ মুহূর্তে তিনি ভোটে হেরে যান। তিনি নির্বাচন করেছিলেন মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে। হারের পর একদমই চুপ ছিলেন এই গায়িকা। দুই দিন পর তিনি গণমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন।

Also Read: তারকাদের কে জিতলেন, কে হারলেন, কে পেলেন কত ভোট

মমতাজ বেগম

নির্বাচনে হারার পর মমতাজের ৫০–এর বেশি নেতা–কর্মীর ওপর হামলা হয়। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হেরেও তাঁদের পাশে থাকার কথা বলেন মমতাজ। এ সময় মমতাজ বেগম বলেন, ‘আমি সারা পৃথিবী চষে বেড়ানো মহিলা, আর দশটা মেয়ের মতো আমি না। আমার এই জনগণের জন্য জেল খাটতে রাজি আছি। আমার যদি মোকাবিলা করতে হয় রাজপথে দাঁড়ায়া, আপনাদের নিয়ে সবকিছু মোকাবিলা করব। জেল–জুলুল অত্যাচার কোনো কিছু আমাকে দাবায়ে রাখতে পারবে না।’
এ সময় মমতাজ সাধারণ মানুষকে পাশে নিয়ে আরও বলেন, ‘আমি কিন্তু ডরে ঘরের কোণে বসে থাকা মহিলা না। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। এর পর থেকে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করব। হান্নান ভাই, মেয়র সবাইকে বলব, যেখানে যে ঘটনা ঘটবে, সেখানে সবাই মিলে প্রতিবাদ করব।’ ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে ফেসবুকে সরব থাকলেও হারের পর তিনি আর কোনো পোস্ট করেননি।

মমতাজ বেগম ও দেওয়ান জাহিদ আহম্মেদ

যদিও ভোট গণনার আগে থেকেই বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন নিজের জয়ের ব্যাপারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধরাশায়ী হন ট্রাক প্রতীকে লড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদের (টুলু) কাছে। মমতাজের হারের পর এলাকাবাসী তাঁকে নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগের কথা বলেন। অনেকেই হারার পেছনে বিভিন্ন যুক্তি দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন। তাঁদের অনেকের মতে, মমতাজ বেগম নিজের স্বার্থসিদ্ধি করতেই ব্যস্ত ছিলেন। নিজের ইউনিয়ন ছাড়া অন্য কোথাও সেভাবে উন্নয়ন করেননি। এসব নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি মমতাজ।

সিঙ্গাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ বেগম ২০০৮ সালে প্রথমবার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মানিকগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীকে ৮২ হাজার ১৩৮ ভোট পেয়েছেন। মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ দেওয়ান জাহিদ আহমেদ ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ৮৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

Also Read: মাহির হুঁশিয়ারি, ডলি সায়ন্তনীর চ্যালেঞ্জ