Thank you for trying Sticky AMP!!

বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে চাইলে যা জানা জরুরি

স্নাতকোত্তর বা পিএইচডি পর্যায়ে বৃত্তি নিয়ে যাঁরা ভিনদেশে পড়তে চান, তাঁদের জন্য লিখেছেন যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক তনিমা ইসলাম

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক তনিমা ইসলাম

ভিনদেশে যদি উচ্চশিক্ষা নিতে চান, প্রথমেই আপনার আগ্রহের বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয় বিবেচনা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। আপনি কোথায় যেতে চান, জানা থাকলে আবেদন করা সহজ হয়। বিক্ষিপ্তভাবে আবেদন করতে থাকলে একসময় খেই হারিয়ে ফেলবেন।

ওয়েবসাইট থেকে তো সাহায্য পাবেনই। আরও সাহায্য নিতে পারেন আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। অথবা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চান, সেখানে যদি পরিচিত কাউকে পেয়ে যান, তাঁর পরামর্শও নিতে পারেন। ভিনদেশি নামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সরাসরি ই–মেইল করেও অনেক তথ্য নেওয়া যায়। ই–মেইলের উত্তর দেওয়ার ব্যাপারে তারা খুবই সচেতন। এ ছাড়া ফেসবুকভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপে যোগ দিতে পারেন। সুইডেন, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশেই উচ্চশিক্ষাসংক্রান্ত আলাদা সরকারি ওয়েবসাইট আছে। এসব ওয়েবসাইটেও অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন।

Also Read: যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা নিয়ে ১০ প্রশ্ন

আবেদনের যোগ্যতা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো শুরু থেকেই মাথায় রাখতে হবে। যেমন ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও বৃত্তির জন্য আইইএলটিএস স্কোর গুরুত্বপূর্ণ। আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য আলাদা প্রস্তুতি নিতে হবে। সুপারিশপত্র বা রিকমেন্ডেশন লেটারও প্রায় সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজন হয়। সুপারিশপত্রের জন্য আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা অফিসের ঊর্ধ্বতনের সঙ্গে কথা বলে রাখতে পারেন, যেন শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়া করতে না হয়।

অনেক বৃত্তির জন্যই কাজের অভিজ্ঞতাকে বেশ গুরুত্বসহকারে দেখা হয়। কাজের অভিজ্ঞতা মানেই যে শুধু নিয়মিত চাকরি, তা নয়। স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ, শিক্ষানবিশি ও গবেষণার অভিজ্ঞতাও আপনাকে এগিয়ে রাখবে। বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে নেতৃত্বের চর্চা ও সহশিক্ষামূলক কাজ যেকোনো বৃত্তির ক্ষেত্রেই ইতিবাচকভাবে দেখা হয়। আপনার যদি এ ধরনের অভিজ্ঞতা থাকে, সেটিও তুলে ধরতে পারেন।

ভর্তি ও বৃত্তির ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কিংয়ের দক্ষতা বাড়াতে চেষ্টা করুন। উন্নয়ন অধ্যয়ন, জনস্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে পড়ার ক্ষেত্রে এই দক্ষতাটিও আমলে নেওয়া হয়। শিক্ষাজীবন থেকেই বিভিন্ন নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, আবেদন ও বৃত্তির প্রক্রিয়া কিন্তু সময়সাপেক্ষ। প্রথমবারেই সফল হওয়ার নিশ্চয়তা নেই। তবে আগে থেকে শুরু করলে অনেক কিছুই গুছিয়ে রাখতে পারবেন, যা আপনার সফল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেবে।