Thank you for trying Sticky AMP!!

স্পোর্টস বাইক চালান তিলকা

আর ওয়ান ফাইভ চালান তিলকা

তিলকা ঠিক করলেন বাইকার জ্যাকেটের ভেতর বাজতে থাকা ফোনটা ধরবেন।

তিলকার পোশাকি নাম আফসানা ইসলাম। পড়ছেন বেসরকারি একটি মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষে। ফাইনাল প্রফ শেষে ছুটি মেলায় বাইক চালিয়ে ঢাকা থেকে গিয়েছিলেন রাঙামাটি। সেখান থেকে ফেরার পথেই এই ফোন। হাইওয়ের পাশে আর ওয়ান ফাইভ স্পোর্টস বাইক থামিয়ে জ্যাকেটের ভেতর থেকে ফোনটা বের করে ধরলেন তিলকা। প্রথম আলো থেকে ফোন করেছেন এক প্রতিবেদক, জানতে চাইলেন ঢাকার রাস্তায় নারী হিসেবে স্পোর্টস বাইক চালানোর অভিজ্ঞতা।

Also Read: স্কুটি চালানো শিখিয়েই নাদিয়া আক্তার মাসে আয় করছেন লাখ টাকা

দেশের বিভিন্ন স্থানেই এই মোটরসাইকেল চালিয়ে ঘুরে বেড়ান তিলকা

শুরুতেই তিনি জানতে চাইলেন, কেন স্কুটি ছেড়ে স্পোর্টস বাইক? উত্তরে তিলকা বলেন, ‘২০১৭ সালে আমার দুই চাকার প্রথম বাহনটি ছিল একটা স্কুটি। স্কুটি দিয়েই আমার শুরু। তবে বছর দুয়েক পরেই আমি স্পোর্টস বাইকে শিফট করি।’ ঘুরে বেড়াতে খুব ভালোবাসেন। মেডিকেলের পড়াশোনার চাপের মধ্যেও সময় পেলেই দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে যান তিলকা। তিনি বললেন, ‘আমার মতো ট্রাভেলারের জন্য স্কুটারে অনেক সুবিধার সঙ্গে কিছু অসুবিধাও আছে। স্কুটারের চাকার আয়তন কম, গতি কম। আমি যেহেতু অনেক দূরের পথও চলাচল করি, তাই হাইওয়েতে লম্বা পথ চলার জন্য মোটরসাইকেল ভালো। এসব ভেবেই কিনে ফেলি ইয়ামাহা আর সিরিজের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও আলোচিত মডেল আর ওয়ান ফাইভ। এখন আর হাইওয়েতে অসুবিধা হয় না।’

তিলকা জানালেন, নারী হিসেবে ঢাকার রাস্তায় মোটরসাইকেল চালাতে কোনো অসুবিধা হয় না। পরিবার থেকে পথের লোকজন—সবখানে পেয়েছেন সহযোগিতা। ঢাকা কেন, বাংলাদেশের কোনো রাস্তায়ই তাকে কটুকথা শুনতে হয়নি। বরং বিভিন্ন সময়ে নানা সমস্যায় অজানা–অচেনা মানুষের কাছ থেকে পেয়েছেন সহযোগিতা। এই হবু ডাক্তার আবার একজন উদ্যোক্তাও। করোনার পর নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন ‘ফিমেল বাইক অ্যান্ড স্কুটি ট্রেনিং সেন্টার’। তিলকার এই প্রতিষ্ঠান থেকে এখন পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নিয়েছেন সাড়ে চার শ নারী।

Also Read: রয়্যাল এনফিল্ড বাংলাদেশে কবে মিলবে?