Thank you for trying Sticky AMP!!

ছাত্রলীগের স্বার্থই দেখছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট

ডাকসু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের আসন্ন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলো আবাসিক হলের বাইরে একাডেমিক ভবনে এবং ডাকসু ও হল সংসদের ফি প্রদানকারী সব শিক্ষার্থীর ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার সুযোগের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা প্রগতিশীল ছাত্রজোট। নির্বাচনের তফসিলের আগেই তাঁরা এসব দাবির বাস্তবায়ন চান। জোটটি বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের স্বার্থে অন্য ছাত্রসংগঠনগুলোর দাবিগুলোকে উপেক্ষা করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডাকসুর গঠনতন্ত্র ও আচরণবিধির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় হওয়া সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানায় প্রগতিশীল ছাত্রজোট। দাবি পূরণে আগামী রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করবে জোটের কেন্দ্রীয় কমিটি৷

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান জোটের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার।

জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘গত ২৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের বৈঠকে যেভাবে ছাত্রসংগঠনগুলোর মতামতকে উপেক্ষা করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক। সংশোধিত গঠনতন্ত্রে ডাকসু ও হল সংসদের ফি যাঁরা দেন, তাঁদের ভোটার ও প্রার্থী করার বিধান না রেখে অত্যন্ত অগণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়সসীমা ৩০ বছর নির্ধারিত হয়েছে। অধিকাংশ ছাত্রসংগঠনের দাবি সত্ত্বেও ভোটকেন্দ্র একাডেমিক ভবনে না করে হলগুলোতেই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের মতামতকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে৷ ক্যাম্পাসে ও হলগুলোতে ছাত্রলীগের একচ্ছত্র দখলদারি কায়েম রয়েছে, যা একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের অন্তরায়’

বাম জোট বলছে, ‘ডাকসু নির্বাচনের জন্য সর্বপ্রথম ক্যাম্পাসে ও হলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও সহাবস্থান নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা আমাদের চোখে পড়েনি৷ আমাদের দাবি, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই ডাকসু ও হল সংসদের ফি প্রদানকারী সব শিক্ষার্থীকে ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার সুযোগের বিধান এবং ভোটকেন্দ্র হলের বাইরে একাডেমিক ভবনে করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ '

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি জি এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইমরান হাবিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷

বামধারার ছয়টি ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত প্রগতিশীল ছাত্রজোট ইতিমধ্যে ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি শুরু করেছে ৷ এই জোট ও বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর আরেক জোট সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্রঐক্য যৌথ প্যানেলে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা ভাবছে ৷

আরও পড়ুন:

কেন ডাকসু নির্বাচন
ডাকসু নির্বাচন: হলে ভোটকেন্দ্রের পক্ষে-বিপক্ষে