Thank you for trying Sticky AMP!!

বিএনপির সমাবেশের আগে পথচারীদের মুঠোফোন ঘাঁটার নিন্দা আসকের

আইন ও সালিশ কেন্দ্র

ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশের আগে পথচারীদের মুঠোফোন ঘাঁটার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। এর আগে পথচারীদের মুঠোফোন ঘাঁটার মধ্য দিয়ে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। এর প্রতিবাদে আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানায় আসক।

আসকের বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল শনিবার পুলিশ যাত্রীদের মুঠোফোন ঘেঁটে ছবি, খুদে বার্তা ও কল তালিকা দেখে বোঝার চেষ্টা করেছে, কোনোভাবে তাঁরা বিএনপির সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন কি না। এ ছাড়া নীলক্ষেত এলাকায় স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পথচারীদের যাঁকে সন্দেহ হয়েছে, থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। সকাল ও দুপুরে দুই দফায় ১২ জন পথচারীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন তাঁরা। অনেক পথচারীকে মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে। গাজীপুরসহ কয়েকটি জায়গায় ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও পুলিশের বিরুদ্ধে এ ধরনের হয়রানিমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে।

বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ কেন্দ্রে গত কয়েক দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বেশ বেড়ে যায়। রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে গত বুধবার থেকে তল্লাশিচৌকি বসায় পুলিশ। এসব জায়গায় পুলিশ সাধারণ মানুষকে তল্লাশির নামে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ সময় কারও কারও মুঠোফোন পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। এতে কী ধরনের ছবি ও বার্তা আছে, পুলিশকে সেগুলো যাচাই করতে দেখা গেছে।

Also Read: তল্লাশির নামে মুঠোফোন পরীক্ষা কি আইনসংগত

গোপনীয়তাকে একজন ব্যক্তির সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার হিসেবে উল্লেখ করে আসক বলেছে, বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৩-এ এই অধিকারটি নিশ্চিত করা হয়েছে। মুঠোফোনে মানুষের ব্যক্তিগত ও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা, তথ্য বা ছবি থাকতে পারে, যা ঘাঁটাঘাঁটি করা একজন ব্যক্তির গোপনীয়তার অধিকারের চরম লঙ্ঘন। এ ছাড়া একজন ব্যক্তির গোপনীয়তার সঙ্গে তাঁর মর্যাদার সম্পর্ক জড়িত। কারও গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে এমন কর্মকাণ্ড সংবিধান ও আইনসংগত নয়।

Also Read: মুঠোফোন ঘেঁটে ‘বিএনপি সমর্থক’ ১০-১২ জনকে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ