ছাত্রলীগের লোগো

বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগ৷ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম এই সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসের প্রবেশমুখসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোয় অবস্থান করছেন।

ক্যাম্পাসের অন্যতম প্রবেশমুখ নীলক্ষেতের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে থেকে মুঠোফোন ঘেঁটে বিএনপি-সমর্থক ১০-১২ জনকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে বলে জানিয়েছে ছাত্রলীগ।

আজ শনিবার সকালে ও দুপুরে দুই দফায় বিএনপি সমর্থক সন্দেহে ১০-১২ জনকে নীলক্ষেতের তোরণের সামনে আটক করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। মারধর ও মুঠোফোন ঘাঁটার পর তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেন তাঁরা।

আরও পড়ুন

তল্লাশির নামে মুঠোফোন পরীক্ষা কি আইনসংগত

আরও পড়ুন

বিএনপির সমাবেশে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে না পুলিশ

নীলক্ষেতে অবস্থান নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুই দফায় ১০-১২ জনকে আমরা পুলিশে দিয়েছি। তাঁদের মুঠোফোন চেক করে বিএনপি সমর্থক বলে নিশ্চিত হয়েই শাহবাগ থানা-পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি ও ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকায় এসেছে। এসব সন্ত্রাসীকে রুখতে ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ আছে। আমরা বিএনপি-জামায়াতের অশুভ রাজনীতির কবর রচনা করবই।’

মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণসংলগ্ন নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. জাফর প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। এ বিষয়ে জানতে থানায় যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি৷ পরে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

আরও পড়ুন

ফখরুল-আব্বাসসহ গ্রেপ্তার নেতা কর্মীদের মুক্তি দাবি