Thank you for trying Sticky AMP!!

শেষ ম্যাচে স্বস্তির জয়

টানা তিন ম্যাচে হার—দুটি ওয়ানডের পর একটি টি-টোয়েন্টি। তবে জিম্বাবুয়ে সফরের শেষ ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ।

বুলাওয়েতে আজ রোববার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ৩৪ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিষ্পত্তি হলো ১-১-এ। গত বুধবার ওয়ানডে সিরিজ শেষে মুশফিকুর রহিম ঘোষণা দেন, জিম্বাবুয়ে সফর শেষে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেবেন তিনি।

এ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে শেষ পর্যন্ত লড়ে ৯ উইকেটে ১৩৪ রান তুলতে সক্ষম হয় স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের সফলতম বোলার সাকিব আল হাসান। ২২ রান দিয়ে চারটি উইকেট শিকার করেন তিনি। দুটি করে উইকেট নেন আবদুর রাজ্জাক ও শফিউল ইসলাম।

বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না। ম্যাচের চতুর্থ বলেই সাজঘরে ফেরেন ব্যক্তিগত ২ রানে থাকা শামসুর রহমান। দ্বিতীয় উইকেটে ৮২ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখান তামিম ইকবাল ও ও সাকিব আল হাসান। ২৮ বলে ৪০ রানের ঝোড়ো এক ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ছয়টি চার ও একটি ছয় দিয়ে। তামিম ফেরেন ৩০ বলে ৪০ রান করে। তাঁর ইনিংসটিও সাজানো ছিল ছয়টি চার ও একটি ছয় দিয়ে।

সাকিব-তামিমের নৈপুণ্যে ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৯৯ রান। হাতে তখনো নয়টি উইকেট। এর পরও বাংলাদেশের সংগ্রহটা ২০০ বা এর কাছাকাছি না যাওয়ার কারণ দ্রুত উইকেটের পতন। সাকিব ও তামিমের বিদায়ের পর কিছুটা সফলতা পেয়েছেন কেবল নাসির হোসেন (২৭)। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের সংগ্রহ ১৭ রান। জিম্বাবুয়ের সফলতম বোলার প্রসপার উতসেয়া। ১৫ রান দিয়ে দুটি উইকেট শিকার করেন তিনি।

১৬৯ রানের লক্ষ্যটা জিম্বাবুয়ের জন্য কঠিনই ছিল। দ্রুত উইকেট হারিয়ে সেটা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে পড়ে। ৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় সংগ্রহ শতরান স্পর্শ করার আগেই পতন ঘটে পাঁচটি উইকেটের। ব্যাট হাতে কিছুটা সফলতা পেয়েছেন কেবল ভুসি সিবান্দা ও সিকান্দার রাজা। দুজনেই করেন ৩২ রান।