Thank you for trying Sticky AMP!!

রেকর্ড জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা

তিন দিনেই শেষ আয়ারল্যান্ড, শ্রীলঙ্কার রেকর্ড জয়

গল টেস্টে আগের দুই দিন মিলিয়ে পড়েছিল ১৩ উইকেট, আজ এক দিনেই পড়ল ১৩টি। সেটিও শেষ সেশনের বেশ খানিকটা সময় বাকি থাকতেই। প্রবাত জয়াসুরিয়ার পর রমেশ মেন্ডিসের ঘূর্ণিতে ফলো-অনে পড়া আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসেও গুটিয়ে গেছে ১৬৮ রানে। প্রথম টেস্ট শ্রীলঙ্কা জিতেছে ইনিংস ও ২৮০ রানে, ইনিংস ব্যবধানে তাদের এটিই সবচেয়ে বড় জয়। বাঁহাতি স্পিনার জয়াসুরিয়া ম্যাচে নিয়েছেন ১০ উইকেট।

প্রথম ইনিংসে ৪৭৪ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিন শুরু করেছিল আয়ারল্যান্ড, তাদের আশা হয়ে ছিলেন লরকান টাকার। সকালে ইতিবাচক ব্যাটিং-ই করেন তিনি, দিনের চতুর্থ ওভারে বিশ্ব ফার্নান্ডোকে মারেন তিনটি চার। পরের ওভারে জয়াসুরিয়াকে মারেন আরেকটি। তবে জয়াসুরিয়া আয়ারল্যান্ডের ওপর ছড়ি ঘোরাতে সময় নেননি বেশি। ইনিংসের ৫২তম ওভারে তাঁর ৩ বলের মধ্যে ফেরেন টাকার ও মার্ক অ্যাডাইর। সুইপ করতে গিয়ে টাকার বোল্ড হন ৪৫ রান করে, অ্যাডাইর হন স্টাম্পিং।

Also Read: ব্যাটিংয়ে ১৫ বছরের পুরোনো স্মৃতি, এরপর জয়াসুরিয়ার ঘূর্ণি

পরের ওভারে রমেশ মেন্ডিস ফেরান অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে, ১৪৩ রানে দাঁড়িয়েই শেষ ৩ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। সকালে আইরিশদের দ্রুতই গুটিয়ে দিয়ে ফলো-অন করানোর সিদ্ধান্তটাও সহজ হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নের জন্য। জয়াসুরিয়া ইনিংস শেষ করেন ৭ উইকেট নিয়ে।

১০ উইকেট নেন জয়াসুরিয়া

আইরিশদের দ্বিতীয় ইনিংসের গতিপথ ছিল প্রথম ইনিংসের মতোই। এবার অবশ্য এক প্রান্তে বোলিং ওপেন করতে জয়াসুরিয়াই আসেন। তবে প্রথম ইনিংসের মতো এবারও আয়ারল্যান্ড শুরুর ধাক্কা খায় বিশ্ব ফার্নান্ডোর পেসে। মারে কমিন্স ও অ্যান্ডি বলবার্নি আবারও তাঁর শিকার, ৮ রানেই ২ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড।

Also Read: উইজডেনের বর্ষষেরা স্টোকস, টি–টোয়েন্টির সেরা সূর্যকুমার

পরের দুটি উইকেট জয়াসুরিয়ার। প্রথমে স্লিপে ক্যাচ দেন জেমস ম্যাককলাম। এরপর এলবিডব্লু টাকার। ম্যাচে জয়াসুরিয়ার সেটি নবম উইকেট, যদিও দশম উইকেটটি পেতে তাঁকে অপেক্ষা করতে হয় বেশ খানিকটা সময়। দৃশ্যপটে এবার হাজির হন মেন্ডিস, তাঁর প্রথম শিকার পিটার মুর। ৫ বল খেলে কোনো রান না করেই শর্ট লেগে ক্যাচ দেন তিনি।

১১তম টেস্টে ৫০ উইকেট পেলেন রমেশ মেন্ডিস

৪০ রানেই ৫ উইকেট হারানো আয়ারল্যান্ডকে একটু ধাতস্থ করেন কার্টিস ক্যাম্ফার ও হ্যারি টেক্টর। দুজনের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে আসে ৬০ রান, ২১ ওভারের বেশি ব্যাটিং করেন তাঁরা। সে জুটি ভাঙেন মেন্ডিস, তাঁর বলে ক্যাচ দেন ক্যাম্ফার। ৪২ রান করা টেক্টর অবশ্য ফেরেন রানআউটে।

১৩১ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর একটু প্রতিরোধ গড়েন জর্জ ডকরেল ও অ্যাডাইর, ৯ ওভারের বেশি ব্যাটিং করেন তাঁরা। সে জুটিও ভাঙেন মেন্ডিস। এরপর বেন হোয়াইটকে এলবিডব্লু করে ৬ ম্যাচের ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার ম্যাচে ১০ উইকেট পেয়ে যান জয়াসুরিয়া। মেন্ডিসকে সন্তুষ্ট থাকতে হয় ৪ উইকেট নিয়েই। অবশ্য ৪ উইকেট নেওয়ার পথে ম্যাচের হিসেবে শ্রীলঙ্কার হয়ে দ্রুততম ৫০ টেস্ট উইকেট নেওয়ার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেন অফ স্পিনার মেন্ডিস। ১১ টেস্টে ৫০ উইকেট নিয়েছিলেন দিলরুয়ান পেরেরাও।