Thank you for trying Sticky AMP!!

১০-এ ১০ হৃদয়

সিলেটের উইকেটের বাউন্স এবং গতি দুটিই আমাদের জন্য ছিল আদর্শ। টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়াটাও স্বাভাবিক ছিল। ফিল্ডিং ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে হাসান মাহমুদকে মিস করেছি।

নাসুম আহমেদ: ৬.৫/১০

এ ফরম্যাটে স্কিলের পাশাপাশি সাহসও দরকার, বিশেষ করে পাওয়ারপ্লেতে বোলিংয়ে। নাসুমের মধ্যে সেটি আছে। তবে চাপের মুখে নিজেকে আরও কার্যকর করে তুলতে হবে।

তাসকিন আহমেদ: ৬.৫/১০

বেশ কিছুদিন পর ভালো ছন্দে বোলিং করতে দেখলাম। পাওয়ারপ্লেতে চমৎকার নিয়ন্ত্রণ দেখিয়েছে, তবে সেট ব্যাটারদের বিপক্ষে আরও উদ্ভাবনী হওয়ার সুযোগ আছে।

শরীফুল ইসলাম: ৫/১০

ওয়ানডে সিরিজে দারুণ করলেও গতকাল কিছুটা এলোমেলো ছিল। এ ফরম্যাটে ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে যাওয়া ম্যাচে পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য নিজের দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি আবেগের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখাটাও জরুরি। ব্যাটিংয়ে অবশ্য চাপের মুখে ম্যাচজয়ী বাউন্ডারি মেরেছে।

Also Read: শেষ ওভারে করিমের হ্যাটট্রিক ছাপিয়ে বাংলাদেশের জয়

সাকিব আল হাসান: ৭/১০

বোলিংয়ে মাঝের ওভারগুলোতে দারুণ মিতব্যয়ী ছিল। কার্যকর বোলিং সঙ্গী না থাকায় সেটি খুব একটা কাজে আসেনি। ব্যাটিংয়ে আস্থা নিয়ে শুরু করলেও হঠাৎ আউট হয়ে গেছে। আরও বড় ইনিংস খেলার মানসিক প্রস্তুতি নিতে পারলে দলের জন্য ভালো হবে।

ভীষণ চাপের মুখে দারুণ ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেছে হৃদয়

মোস্তাফিজুর রহমান: ৫.৫/১০

মাঝের ওভার ও শেষের দিকে চাপের মুখে মোটামুটি ভালো বোলিং করেছে, তবে ওর কাছে চাওয়া আরও বেশি।

মেহেদী হাসান মিরাজ: ৬.৫/১০

প্রথম বলে চার খাওয়ার পরও দায়িত্ব ভালোভাবেই পালন করেছে। মিতব্যয়ী ছিল, গুরুত্বপূর্ণ জুটি ভেঙেছে। ব্যটিংয়েও কার্যকর ছোট ইনিংস খেলেছে।

রনি তালুকদার: ২/১০

ফিল্ডিংয়ে দারুণ একটি চেষ্টা ছিল ক্যাচের। এর জন্যই এক নম্বর বেশি দেব। ব্যাটিংয়ে আরও একটা সুযোগ হয়তো আসবে। সেটি কাজে লাগানো খুবই জরুরি।

লিটন দাস: ২/১০

আমার মনে হয় না দ্রুত রান তোলার জন্য লিটনের এমন স্লগ করার প্রয়োজন আছে। একটু ইম্প্রোভাইজেশনই যথেষ্ট হওয়ার কথা। পরের ম্যাচে ম্যাচজয়ী ইনিংস আশা করব।

বোলিংয়ে মাঝের ওভারগুলোতে দারুণ মিতব্যয়ী ছিল সাকিব

নাজমুল হোসেন: ২/১০

একটু ধীরস্থির হয়ে খেললেই তার ভালো শুরু সম্ভব। লিটনের মতো সে-ও প্রপার ব্যাটার। আরেকটু ডিসিপ্লিনড ব্যাটিং আশা করি।

Also Read: ‘এ রকম জয় আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়’

তাওহিদ হৃদয়: ১০/১০

ভীষণ চাপের মুখে দারুণ ম্যাচজয়ী ইনিংস। নিজের স্কিলের ওপর বিশ্বাস এবং পরিকল্পনা থেকে সরে না যাওয়ার মানসিক শক্তি তার একটি বড় সক্ষমতার জায়গা। সে এখন ছোট–বড় সবার জন্যই অনুকরণীয়।

শামীম হোসেন: ৮.৫/১০

ব্যক্তিগত রেকর্ডের ব্যাপারে কোনো আগ্রহ না থাকাটাই ওর বড় শক্তির জায়গা। দ্রুত রান করে হৃদয়কে চাপমুক্ত রেখেছে। দুজনের জুটিতেই এই জয়। যদিও সুযোগ ছিল ম্যাচ শেষ করে আসার।