Thank you for trying Sticky AMP!!

পন্টিং, ম্যাকগ্রা ও গিলক্রিস্ট আছেন সাঙ্গাকারা ও ডুলের একাদশে

সাঙ্গাকারা–ডুলের বিশ্বকাপের সর্বকালের সেরা একাদশে কারা আছেন

চলছে বিশ্বকাপের ক্ষণগণনা। বিশ্বকাপ শুরুর সময়ের হিসাব এখন মাস, সপ্তাহ, দিন থেকে নেমে এসেছে ঘণ্টায়। বলা যায়, খেলা মাঠে গড়ানোর আগেই বিশ্বকাপ–জ্বরে কাঁপতে শুরু করেছে ক্রিকেট–দুনিয়া। বিশ্বকাপ সামনে রেখে সাবেক ক্রিকেটার ও বিশ্লেষকেরাও বাছাই করছেন নিজেদের পছন্দের দল, সেরা ৪ সেমিফাইনালিস্ট, এমনকি সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়নও।

কেউ কেউ আবার বানাচ্ছেন নিজেদের পছন্দের একাদশও। শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি ক্রিকেটার কুমার সাঙ্গাকারা ও নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার সাইমন ডুল মিলে যেমন তৈরি করলেন বিশ্বকাপের সর্বকালের সেরা একাদশ। স্কাই স্পোর্টসে কথা বলার সময় এই একাদশ তৈরি করেছেন তাঁরা।

Also Read: আকরামের স্বপ্নের ভারত-পাকিস্তান ওয়ানডে একাদশে যাঁরা

বিশ্বকাপের সেরা একাদশে সাঙ্গাকারা ও ডুলের পছন্দের দুই ওপেনার হলেন শচীন টেন্ডুলকার ও অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। ২০১১ সালে বিশ্বকাপে জেতা টেন্ডুলকার বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রাহক। ৪৫ ম্যাচে ৫৬.৯৬ গড়ে তাঁর রান ২২৭৮। যেখানে ৬টি সেঞ্চুরির সঙ্গে ১৫টি ফিফটিও। লিটল মাস্টার শচীনের সঙ্গী হিসেবে আছেন গিলক্রিস্ট। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টানা তিন বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন গিলক্রিস্ট।

তিন নম্বরে তাঁরা রেখেছেন গিলক্রিস্টের অস্ট্রেলিয়ান সতীর্থ কিংবদন্তি রিকি পন্টিংকে। পন্টিংও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে গিলক্রিস্টের মতো তিনটি বিশ্বকাপ জিতেছেন। আর বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রাহকের তালিকায় শচীনের পরেই আছেন পন্টিং। ৪৬ ম্যাচে ৪৫.৮৬ গড়ে তাঁর রান ১৭৪৩। সাঙ্গা–ডুল পরের জায়গাটি দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ভিভ রিচার্ডসকে। উইন্ডিজদের ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়কও ছিলেন ভিভ।

শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক ও ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা

সাঙ্গাকারা ও ডুলের একাদশে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামবেন অরবিন্দ ডি সিলভা। শ্রীলঙ্কার ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক ডি সিলভা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শিরোপা জয়ের পথে ফাইনালে তিনি খেলেছিলেন ১০৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম দুই বিশ্বকাপে শিরোপা এনে দেওয়া অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েডকেও এ তালিকায় রেখেছেন তাঁরা। সঙ্গে আছেন আরেক কিংবদন্তি অলরাউন্ডার ও অধিনায়ক ইমরান খানও। ‘আন্ডারডগ’ পাকিস্তানকে দুর্দান্ত নেতৃত্বে ১৯৯২ সালে শিরোপা এনে দিয়েছিলেন ইমরান। আর ইমরানের বিশ্বকাপ জেতার অন্যতম হাতিয়ার ওয়াসিম আকরামও আছেন সাঙ্গা ও ডুলের একাদশে।

ফাইনালে পরপর দুই বলে অ্যালান ল্যাম্ব ও ক্রিস লুইসকে ফিরিয়ে ম্যাচের গতিপথ বদলে দিয়েছিলেন আকরাম। পরে ১৯৯৯ সালে তাঁর নেতৃত্বে পাকিস্তান বিশ্বকাপের ফাইনালেও উঠেছিল। এ তালিকায় তৃতীয় অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে আছেন শেন ওয়ার্ন। গিলক্রিস্ট ও পন্টিংয়ের মতো ওয়ার্ন বিশ্বকাপ জিতেছেন তিনবার। ঘূর্ণি জাদুতে অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বকাপে বেশ কিছু ম্যাচও জিতিয়েছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই লেগ স্পিনার। ওয়ার্নের সঙ্গে স্পিনে জুটি গড়ার জন্য রাখা হয়েছে মুত্তিয়া মুরালিধরনকে।

Also Read: বাবরকে দিয়ে পানি টানাবেন ‘অধিনায়ক’ শাদাব

শ্রীলঙ্কার হয়ে ১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপ জেতা মুরালি বিশ্বকাপ ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। ৪০ ম্যাচে তাঁর উইকেট ৬৮টি। পেসার হিসেবে এ তালিকার সর্বশেষ জায়গাটি গ্লেন ম্যাকগ্রার। তিনবার বিশ্বকাপের জয়ের পাশাপাশি বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে উইকেট শিকারি বোলারও ম্যাকগ্রা। ৩৯ ম্যাচে তাঁর উইকেট ৭১টি। এমনকি ইনিংস সেরা ফিগারও তাঁর। ২০০৩ সালে নামিবিয়ার বিপক্ষে ১৫ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট।

সাঙ্গাকারা ও ডুলের সর্বকালের সেরা একাদশ
শচীন টেন্ডুলকার, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, রিকি পন্টিং, ভিভ রিচার্ডস, অরবিন্দ ডি সিলভা, ক্লাইভ লয়েড, ইমরান খান, ওয়াসিম আকরাম, শেন ওয়ার্ন, মুত্তিয়া মুরালিধরন ও গ্লেন ম্যাকগ্রা।