Thank you for trying Sticky AMP!!

অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার নাথান লায়ন

অ্যাশেজে প্রথম দুই টেস্টে বাজবলের কিছুই দেখেননি লায়ন

নাথান লায়ন কথাটা কি ঠিক বললেন! অস্ট্রেলিয়ান এ অফ স্পিনার নাকি বাজবলের কিছুই দেখেননি এবারের অ্যাশেজে। অন্তত যে দুটি ম্যাচে তিনি খেলেছেন। এটা সত্যি, বাজবলের বিপক্ষে তিনি ২-০ ব্যবধানেই এগিয়ে আছেন।

অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের যে একচ্ছত্র দাপট, সেটা শুরু হয়েছিল মূলত তৃতীয় টেস্ট থেকেই। তবে লায়ন চোটের কারণে শেষ তিন টেস্ট খেলতে পারেননি। সে কারণেই বাজবলের আসল তোপটা অনেকটাই তিনি টের পাননি। তবে প্রথম দুই টেস্টেও তো তাঁর ওপর থেকে কম ঝড় যায়নি। অবশ্য দুই টেস্টে ৯ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে ভালো ভুগিয়েছেনও তিনি।

Also Read: আকরাম–ম্যাকগ্রা–কুম্বলেরা যা পারেননি, লর্ডসেই তা করে ফেলতে পারেন লায়ন

হয়তো উইকেট নেওয়ার আত্মবিশ্বাস থেকেই অস্ট্রেলিয়ান এই স্পিনার বলেছেন, তিনি বাজবলের কিছুই দেখেননি। এসইএন ক্রিকেটকে লায়ন বলেছেন, ‘আমি জানি, সবাই বাজবল নিয়ে কথা বলছে। তবে সত্যি বলতে আমি যে দুই টেস্টে খেলেছি, সেখানে আমি বাজবলের কিছু দেখিনি। বাজবলের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে আমি এগিয়ে। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের দিকেও যদি তাকাই, ডেভিড ওয়ার্নারের কথাই যদি ধরি, আমি তাকে এক সেশনে সেঞ্চুরি করতে দেখেছি, সেটা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেই।’

দ্বিতীয় টেস্টে ক্রাচে ভর করে মাঠে এসেছিলেন লায়ন

লায়ন বাজবল টের পাননি, এমন বললেও পরিসংখ্যান একটু ভিন্ন কথাই বলছে। ২০১২-১৩ সালের পর থেকে সদ্য শেষ হওয়া অ্যাশেজেই প্রথমবার কোনো সিরিজে ওভারপ্রতি ৪ বা এর বেশি রান খরচ করেছেন লায়ন। অর্থাৎ লায়নের বিপক্ষে ইংল্যান্ড দ্রুতগতিতেই রান তুলেছে। তবে সে ঝুঁকি নেওয়ার মূল্যও দিতে হয়েছে তাদের। ফলে এ সিরিজে লায়নের স্ট্রাইক রেট ভালো। অ্যাশেজে খেলা দুই টেস্টে ৬৬ ওভার বোলিং করে লায়নের স্ট্রাইক রেট ছিল ৪৪। ৬৬ বা এর বেশি ওভার বোলিং করে কোনো সিরিজে লায়নের এর চেয়ে ভালো স্ট্রাইক রেট ছিল মাত্র দুবার। মানে বাজবলের যে ব্যাপার—উইকেট হারানোর ভয় না করে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং, সেটি লায়নের বিপক্ষে ঠিকই করেছে ইংল্যান্ড।

Also Read: অ্যাশেজ থেকে ছিটকেই গেলেন লায়ন

এবারের অ্যাশেজে ব্যাট হাতেও ভূমিকা রেখেছিলেন এই স্পিনার। তবে লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় দিন বাউন্ডারির কাছে ফিল্ডিংয়ের সময় বেন ডাকেটের একটি শট আটকাতে গিয়ে ডান পায়ের মাংসপেশি ছিঁড়ে যায় লায়নের। ফলে অস্ট্রেলিয়ার ৩৫ বছর বয়সী স্পিনারকে হেডিংলি, ওল্ড ট্রাফোর্ড এবং ওভালে শেষ ৩ টেস্টে দর্শক হয়ে থাকতে হয়। এই তিন টেস্টের দুটিই জেতে ইংল্যান্ড, বৃষ্টি না এলে ওল্ড ট্রাফোর্ডের ফলও পক্ষে যেতে পারত স্বাগতিকদের।

প্রথম দুই টেস্টে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন লায়ন

তবে এরপরও ইংল্যান্ডের খেলার নতুন এই দর্শনকে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছেন না লায়ন। এই স্পিনার বললেন সেই চিরচেনা দর্শন মানে পরিস্থিতি বুঝে খেলার কথাই, ‘বাজবল নিয়ে তো অনেক কথাবার্তাই হচ্ছে। তবে সত্যি বলতে যদি আপনি আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে চান, তাহলে ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে আক্রমণাত্মক ও রক্ষণাত্মক হওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে।’

ইংল্যান্ডের মাটিতে পরের অ্যাশেজ ২০২৭ সালে। ৩৫ বছর বয়সী স্পিনার লায়ন স্বপ্ন দেখেন ইংল্যান্ডের মাটিতে সেই অ্যাশেজ খেলার, ‘একটা কথা বলি, আমি ইংল্যান্ডে অ্যাশেজ খেলা নিয়ে মোটেই মজা করছি না। অ্যাশেজের জন্য আবারও ইংল্যান্ডে খেলার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছি না। আর আমার শেষ আমি হুট করে দেখছি না। আমার মনে হয় এখনো অনেক ক্রিকেট বাকি।’
শেষ পর্যন্ত সে সিরিজে খেললে ইংল্যান্ডের খেলার কোন ধরন দেখবেন লায়ন, প্রশ্ন সেটিই!

Also Read: বেয়ারস্টোর আউটের পর লর্ডসের ডাইনিংরুমে কী হয়েছিল, জানালেন লায়ন