Thank you for trying Sticky AMP!!

চুক্তি সইয়ের পর হাত মেলাচ্ছেন রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব শেঠি এবং বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী

তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে রবি

আজ সকালে কেউ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এসে পড়লে একটু চমকেই যেতেন। মাঠে খেলা নেই। তবু মাঠে ঢোকার আগে ছোট ছোট লাল রঙের বিল বোর্ড। একটু ভেতরে বাউন্ডারি লাইনের বাইরে বড় মঞ্চ। পুরোটাই লাল রঙে রঙিন। যাওয়া-আসার পথটা লাল কার্পেটে মোড়া। সে এক জাঁকজমকপূর্ণ ব্যাপার।

এ আয়োজনের উপলক্ষ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্পনসর হিসেবে টেলিকম প্রতিষ্ঠান রবির নাম ঘোষণা করা। এ ঘোষণা দিতে পেরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচল। কারণ, গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে স্পনসর ছিল না বাংলাদেশ দলের। এরপর কেটে গেছে দুটো সিরিজ। এ কারণে ক্রিকেট দলের স্পনসর পাওয়ার অনুষ্ঠানটা আজ বেশ ঘটা করেই হয়েছে।

Also Read: ‘জীবনেও ৫০ বা ১০০ করার জন্য খেলিনি’

টেলিকম সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান রবির সঙ্গে বিসিবির সাড়ে তিন বছরের চুক্তি হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৭ সালের জুলাই পর্যন্ত থাকবে চুক্তির মেয়াদ। রবির সম্মতিতে চুক্তির টাকার অঙ্কও আজ প্রকাশ করেছে বিসিবি। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেছে—অঙ্কটা ৫০ কোটি টাকা।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব শেঠি, প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শিহাব আহমাদ। ছিলেন বিসিবির পরিচালক ও বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান তানভীর আহমেদ, বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে ফিরল টেলিকম প্রতিষ্ঠান রবি

বিসিবির সঙ্গে তৃতীয় মেয়াদে স্পনসর হিসেবে যুক্ত হলো রবি। আজ নতুন চুক্তির সময়ে তারা আগের দুই মেয়াদে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিভিন্ন সাফল্যের কথা মঞ্চে বেশ গর্ব নিয়েই স্মরণ করেন। তবে সর্বশেষ মেয়াদ ফুরোনোর ১০ মাস আগেই বিসিবির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ হয়েছিল টেলিকম প্রতিষ্ঠানটির। এ নিয়ে এক প্রশ্নে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘সে সময় দুই পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতেই চুক্তির ইতি টানা হয়েছিল।’

Also Read: কেন ভারতের বিপক্ষে ৫/০ স্কোর নিয়ে ব্যাটিং শুরু করবে ইংল্যান্ড

এবার নতুন চুক্তিতে উচ্ছ্বসিত দুই পক্ষই। জানানো হয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা রবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে না। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিসিবির পরিচালক তানভীর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এবার রবির সঙ্গে চুক্তিটা হয়েছে এমনভাবে যে বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ এবং জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা রবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক, এমন প্রতিষ্ঠানের স্পনসর নিতে পারবে না।’

রবির সঙ্গে ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চুক্তির অঙ্ক ছিল ৬১ কোটি টাকা। এবার টাকার অঙ্ক কেন কমল, সে প্রশ্নে তানভীর আহমেদ বলেছেন, ‘সে সময় আমি বোর্ডে ছিলাম না। তবে পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় টাকার অঙ্ক কমেছে বলা যাবে না। সর্বশেষ ক্রিকেট দলের স্পনসর ছিল দারাজ, তাদের সঙ্গে আড়াই বছরের চুক্তির অঙ্ক ছিল ৪০ কোটি ১০ লাখ টাকা। এবার রবির সঙ্গে সাড়ে তিন বছরে ৫০ কোটি টাকা। অর্থাৎ দারাজের তুলনায় ৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা বেড়েছে।’

Also Read: হ্যামিল্টন টেস্ট: উইলিয়ামসনের ৩২তম শতকে ৯২ বছরের আক্ষেপ ঘুচল নিউজিল্যান্ডের