Thank you for trying Sticky AMP!!

শচীন টেন্ডুলকারের সেলফিতে মেয়ে সারা

মেয়ে সারার পর বাবাও ডিপফেকের শিকার, থামাতে বললেন টেন্ডুলকার

অ্যাপের বিজ্ঞাপনে শচীন টেন্ডুলকার। যেখানে ভারতীয় কিংবদন্তি বলছেন, ‘আমার মেয়ে এই অ্যাপে খেলে থাকে। এখানে খেলে প্রতিদিন ১ লাখ ৮০ হাজার রুপি আয় করা যায়। মাঝেমধ্যে আমি আশ্চর্য হয়ে যাই, এখন কত সহজে আয় করা যায়।’

মেয়ের কথা উল্লেখ করে টেন্ডুলকার যে অ্যাপটি ব্যবহারে উৎসাহ জোগাচ্ছেন, সেটি একটি বেটিং অ্যাপ। ভারতজুড়ে ভাইরাল হওয়া বিজ্ঞাপনটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন টেন্ডুলকার।

ভারতের ক্রিকেট কিংবদন্তি বলেছেন, বিজ্ঞাপনে বলা কথাগুলো তাঁর নয়। এটি ডিপফেক। টেন্ডুলকারের পুরোনো একটি ভিডিওতে প্রযুক্তির সাহায্যে তাঁর নকল কণ্ঠ বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ভুয়া বিজ্ঞাপন বা ডিপফেক ভিডিও বন্ধে সবাইকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন টেন্ডুলকার।

প্রযুক্তির সাহায্যে সূক্ষ্মভাবে কোনো ব্যক্তির শরীর বা নকল কণ্ঠ বসিয়ে তৈরি করা ছবি বা ভিডিওকে ডিপফেক কনটেন্ট বলা হয়। এটি ভুয়া কনটেন্টেরই একটি রূপ, তবে মাত্রাগতভাবে অনেকটাই বাস্তবের মতো, সহজে আসল–নকল পার্থক্য করা কঠিন। গত বছরের নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় টেন্ডুলকারের মেয়ে সারা ডিপফেক ছবি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। ওই সময় সারা ও ভারতীয় ওপেনার শুবমান গিলের একটি ছবি ভাইরাল হয়। যেটি আদতে সারা–গিলের ছিল না, সারার সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই অর্জুন টেন্ডুলকার।

Also Read: টেন্ডুলকারের ছবি ব্যবহার করে মেদ-কমানোর পণ্যের বিজ্ঞাপন, সাইবার পুলিশে মামলা

মেয়ের ডিপফেক ছবির পর এবার বাবা টেন্ডুলকার ডিপফেক ভিডিওর শিকার হলেন। আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে বেটিং অ্যাপের বিজ্ঞাপনটি শেয়ার করে টেন্ডুলকার লিখেছেন, ‘এই ভিডিওগুলো ভুয়া। প্রযুক্তির ব্যাপক অপব্যবহার দেখলে বিরক্তি লাগে। সবাইকে অনুরোধ করছি, এ ধরনের ভিডিও, বিজ্ঞাপন ও অ্যাপগুলোকে প্রচুর পরিমাণে রিপোর্ট করুন।’

এক ফ্রেমে টেন্ডুলকার–পরিবার

এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করেন টেন্ডুলকার, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর অভিযোগের বিষয়ে সতর্ক থাকা দরকার। ভুল তথ্য ও ডিপফেক ছড়ানো বন্ধে তাদের দিক থেকে ত্বরিত উদ্যোগ গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।’

Also Read: দুই হাত নেই, আমিরের ব্যাটিং দেখে তবু মুগ্ধ টেন্ডুলকার