Thank you for trying Sticky AMP!!

ব্রাজিল পারবে বিশ্বকাপ জিততে?

‘ব্রাজিলকে সবাই হিংসা করে’

আর মাত্র কয়েক মাস। এরপরই উঠবে কাতার বিশ্বকাপের পর্দা।

ফেবারিটদের তালিকায় এবারও যথারীতি আছে ব্রাজিলের নাম, যারা ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের আশায় দিন গুনছে। ২০০২ সালের পর থেকে বিশ্বকাপ জেতার অপেক্ষায় থাকা দলটা জানে, নেইমারকে নিয়ে বিশ্বকাপ জেতার এটাই সর্বশেষ সুযোগ। ব্রাজিল কি পারবে?

Also Read: নেইমার না ভিনিসিয়ুস? ব্রাজিল কোচের চোখে কে সেরা

দলটার কোচ তিতে অবশ্য যথেষ্ট আশাবাদী। গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলকে বিশ্বজয়ীর মঞ্চেই দেখছেন এই কোচ, ‘আমি আশাবাদী। আমরা বিশ্বকাপে পৌঁছে গেছি, এখন সময় ফাইনালে ওঠার, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। এটাই সত্যি। এর আগের বিশ্বকাপের আগে আমি পুরো মেয়াদে কাজ করার সুযোগ পাইনি (২০১৬ সালে সাবেক কোচ দুঙ্গা বরখাস্ত হওয়ার পর দায়িত্ব নেন তিতে, ২০১৪ বিশ্বকাপের পর ২০১৮ বিশ্বকাপের আগে পুরো চার বছর ধরে পরিকল্পনা করতে পারেননি তিতে)। এবার পুরো চার বছরের চক্রজুড়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। প্রত্যাশা অনেক বেশি, কিন্তু আমরা নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি।’

সুযোগ পেয়ে নিজের ঢোল নিজেই পিটিয়েছেন ৬১ বছর বয়সী এই কোচ।

ব্রাজিল কোচ তিতে

তাঁর অধীন ব্রাজিল যে কত ভালো খেলছে, সেটার বিশাল এক ফিরিস্তি দিয়েছেন ২০১৮ বিশ্বকাপে সেলেসাওদের কোয়ার্টার ফাইনালে তোলা এই কোচ, ‘আমাদের দেখানোর মতো ফলাফল আছে। মানুষ কী চায়? বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়ার রেকর্ড গড়েছি আমরা। টানা ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ডও আমাদের দখলে। ২০১৮ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে আমার অধীন টানা ১২ ম্যাচ, এ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে টানা ১৭ ম্যাচ, মোট ২৯ ম্যাচে আমরা হারের মুখ দেখিনি।’

তিতে আরও যোগ করলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকার বাছাইপর্ব খুব কঠিন। ১৭ ম্যাচে মিলিয়ে আমরা আর্জেন্টিনার চেয়ে ১৩ গোল বেশি করেছি। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়েও আমরা সবার সেরা। ২০১৯ কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন আমরা। ২০২১ সালের কোপা আমেরিকাতে রানার্সআপও হয়েছি, সেবার জিততে পারিনি কিন্তু আমাদের পুরো প্রক্রিয়াই বোঝা গেছে। বাছাইপর্বের ১৭ ম্যাচের মধ্যে ১৩টিতেই কোনো গোল হজম করিনি, প্রতি ম্যাচে গড়ে আড়াইটা করে গোল করেছি।’

এই ব্রাজিলকে নিয়ে তিতে আশাবাদী

পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে হিংসা করার মতো মানুষের যে অভাব নেই, সেটাও বোঝেন তিতে।

কিন্তু সন্দেহবাদীদের সংশয় দূর করে দিয়েই নেইমারদের বিশ্বসেরা করতে চান তিতে, ‘ব্রাজিলকে কি সবাই ঈর্ষা করে? আপনাকে একটা কাহিনি বলি। ২০১৮ বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের কাছে হেরে বিদায় নেওয়ার পর ইতালির এক কোচ মিরান্দাকে উপহাস করেছিল। সে বলেছিল, “বেলজিয়ামের কাছে হেরে বিদায় নিতে কেমন লাগে?” আমি এটা মিরান্দার কাছ থেকে শুনেছিলাম, এরপর মিরান্দাকে বলেছিলাম, বিদায় নিতে কেমন লাগে—এটা ওই কোচ বুঝবে না, কারণ সে কখনো ব্রাজিলের মতো দলের কোচ ছিল না, এমনকি নিজের দেশেরও কোচ ছিল না। এটাকে ঈর্ষা বলে। এ রকম অনেক মানুষই ব্রাজিলকে হিংসা করে। কিন্তু তারা সেটা স্বীকার করতে চায় না। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্রাজিলকেই হিংসা করা হয় সম্ভবত। জাগালোর মতো কোচকে যদি সমালোচনা করা হয়, তাহলে আমাকে নিয়ে তো সমালোচনা হবেই!’