নেইমার না ভিনিসিয়ুস? ব্রাজিল কোচের চোখে কে সেরা

নেইমার ও ভিনিসিয়ুস - এই ব্রাজিলের দুই মধ্যমণিছবি: রয়টার্স

বিশ্ব নেইমারকে চেনে সেই ২০০৯ সাল থেকে। সান্তোসের হয়ে নেইমারের দ্যুতি তখন এতটাই উজ্জ্বল ছিল, ১৮ বছর বয়সের এই উইঙ্গারকে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ দলে দেখার জন্য অনেক ব্রাজিলিয়ানই মুখিয়ে ছিলেন। কিন্তু ব্রাজিলের তৎকালীন কোচ দুঙ্গা ওসব ঠুনকো আবেগকে পাত্তা দেননি, অভিজ্ঞ খেলোয়াড় দিয়ে দল সাজিয়েছিলেন।

২০১০ বিশ্বকাপ সুযোগ না পেলেও পরের দুই বিশ্বকাপে ঠিকই সুযোগ পেয়েছেন। শুধু সুযোগ পেয়েছেন বলাটা ভুল হবে, ব্রাজিলের মূল খেলোয়াড় হিসেবেই নিজের অবস্থান পাকা করেছেন। লাভ হয়নি। ষষ্ঠ বিশ্বকাপের জন্য ব্রাজিলের আফসোস কমেনি বিন্দুমাত্রও। ব্রাজিলকে বিশ্বজয়ের আনন্দে ভাসাতে পারেননি নেইমার। বিশ্বকাপের মঞ্চে আগের সব ব্যর্থতা ভুলে নেইমার এবার যাচ্ছেন কাতারে, ব্রাজিলকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করার আশায়। ব্রাজিলও আরেক দফা নেইমারে সওয়ার হয়ে বিশ্বকাপ জেতার আশায় বুঁদ।

ব্রাজিল কোচ তিতে
ছবি: এএফপি

কিন্তু গত কয়েক মাস আগে নেইমারের দেওয়া এক সাক্ষাৎকার জাগিয়েছে দ্বিধা। নেইমার আদৌ ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জেতানোর চাপ সামলানোর জন্য প্রস্তুত কি না, উঠেছে প্রশ্ন। গত অক্টোবরে নেইমার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ফুটবল খেলতে খেলতে ক্লান্ত তিনি। এবারের বিশ্বকাপটাই হয়তো তাঁর শেষ বিশ্বকাপ হবে। ফুটবল নিয়ে যার এখনই এত হতাশা, তিনি কীভাবে ব্রাজিলকে পরম-আরাধ্য হেক্সা জেতাবেন?

তিতে অবশ্য ওসব কথা নিয়ে চিন্তা করছেন না। নেইমারের কোন বিষয়টা চিন্তা করে ওই কথা বলেছেন, সেটাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন ব্রাজিল কোচ, ‘নেইমার যখন ওই কথাটা বলেছিল, সে সময়টার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার। আমাদের মাথায় রাখতে হবে নেইমার কখন এই সাক্ষাৎকার দিয়েছিল (ধারণা করা হয়, গত অক্টোবরে সাক্ষাৎকারটা প্রকাশ করা হলেও নেইমার সাক্ষাৎকারটা দিয়েছিলেন আরও কয়েক মাস আগে, খুব সম্ভবত কোপা আমেরিকার ফাইনাল হারের পর কিংবা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার পর)। আমাকেও যদি কাপ প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নেওয়ার পর এসব জিজ্ঞেস করা হতো, আমিও ওই সময়ে কষ্টে থাকতাম। অমন কোনো কথাই হয়তো বলতাম।’

আরও পড়ুন

তিতের চোখে নেইমার এখনও ব্রাজিলের মূল তারকা। তবে এটাও বিশ্বাস করেন, খুব শিগগিরই ব্রাজিলের মূল তারকা হয়ে যেতে পারেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, ‘নেইমার নেইমারই। ওর তুলনা ও নিজে। ও আমাদের সবচেয়ে বড় তারকা। কিন্তু পার্থক্যটা হলো এখন সবচেয়ে বড় তারকার দ্যুতিটাও একটু ম্লান মনে হয় কারণ আশেপাশের তারাগুলোও বেশ ভালোভাবে জ্বলছে। ভিনিসিয়ুসও অমনই এক তারা। নেইমারের শ্রেষ্ঠত্ব হলো, ও নিজেও এই ব্যাপারটা বোঝে, বোঝে দেখেই এসব তরুণদের উন্নতির ব্যাপারে সব সময় সাহায্য করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নেইমার আরও পরিণত হয়েছে।’