Thank you for trying Sticky AMP!!

স্পেন কোচ লুইস এনরিকে

নিজেদের প্রিয় খাবার ও পানীয় কাতারে নিতে পারছে না স্পেন

ধরুন, বিশ্বকাপ জিতেই গেল লুইস এনরিকের স্পেন। তাহলে সেই সাফল্য উদ্‌যাপনের সময় গোটা স্পেন দলেরই মনে হবে, কী যেন নেই, কী যেন নেই! সেটি মনে হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে, যেকোনো উৎসব উদ্‌যাপনে স্প্যানিশদের প্রিয় পানীয়ই যে কাতারে নিতে পারবে না স্পেন। কাতারে যেকোনো ধরনের অ্যালকোহল আমদানি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ।

স্প্যানিশদের খুব প্রিয় ওয়াইনের নাম ‘কাভা’। আঙুরের রস দিয়ে বানানো বিশেষ ধরনের এই ওয়াইন উৎসবের সময়ই ব্যবহার করা হয়। উৎসবের বাইরেও এই কাভার ব্যবহার স্প্যানিশদের দৈনন্দিন জীবনেরই অংশ। কিন্তু কাতারে গিয়ে এসব কাভা–টাভার নাম ভুলে যেতে হবে, স্বাদ নেওয়া তো অনেক দূরের ব্যাপার।

কাভার সঙ্গে স্প্যানিশ ফুটবল দলের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকার অংশ শূকরের মাংসের বিভিন্ন রান্নাও কাতার বিশ্বকাপে নিষিদ্ধ থাকছে।

এদিকে স্পেন দলের সঙ্গে যে মালপত্র কাতারে যাচ্ছে, তার মোট ওজন তিন হাজার কেজি। এই মালপত্রে ফুটবল দলের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তো আছেই, সেই সঙ্গে আছে কোচ লুইস এনরিকের ব্যবহার্য বিভিন্ন অনুশীলন প্রযুক্তি।

জর্ডানের আম্মানে বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে ব্যস্ত আনসু ফাতি, দানি কারভাহাল ও সের্হিও বুসকেটস

স্প্যানিশ কোচ অনুশীলন মাঠে সাধারণত লোহার তৈরি উঁচু মাচায় দাঁড়িয়ে খেলোয়াড়দের দিকনির্দেশনা দেন। লোহার রডের সেই মাচা স্ক্রু দিয়ে জোড়া লাগানো হয়, কাজ শেষে সেটি খুলে রাখা হয়। স্পেন দলের সঙ্গে আবশ্যিক উপকরণ হিসেবে সেই মাচার লোহার রডগুলো কাতারে গেছে।

পাশাপাশি আছে এনরিকের জন্য বিশাল এলইডি স্ক্রিন। যেটি দিয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে খেলোয়াড়দের নির্দেশনা দেন সাবেক বার্সেলোনা কোচ।

Also Read: যে ৮টি কারণে কাতার বিশ্বকাপ অনন্য

ফরাসি পত্রিকা লা প্যারিস মালপত্রের এ তথ্য প্রকাশ করেছে। তারা লিখেছে, এরই মধ্যে দুটি কনটেইনার বিমান স্পেন দলের মালপত্র নিয়ে দোহা পৌঁছেছে। এই দুটি বিমানে ৯০টি আলাদা প্যাকেজে থাকছে স্পেন দলের বিভিন্ন উপকরণ।

টেকনিক্যাল গ্যাজেটের সঙ্গে আছে দলের খেলোয়াড়দের ম্যাচ ও অনুশীলন জার্সি এবং খেলার অন্য সামগ্রী। প্রত্যেক খেলোয়াড়ই বুট পাচ্ছেন চার–পাঁচ জোড়া। তবে লা প্যারিস বলছে, স্পেন দল সঙ্গে করে কোনো খাবার ও পানীয় নিচ্ছে না।

Also Read: স্পেনের বিশ্বকাপ দলে নেই রামোস–আলকানতারা

স্পেন দলের সঙ্গে বিভিন্ন সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে যাচ্ছেন মোট ৯০ জন।