Thank you for trying Sticky AMP!!

আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার

গোল যখনই হোক, জয়ই আসল

বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস মাঠের লড়াইয়ে শেষ ২১০ মিনিটে কোনো গোল হয়নি। ২০০৬ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ৯০ মিনিট আর ২০১৪ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ১২০ মিনিট দুই দলের কেউই প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে পায়নি। আট বছর পর দুই দল আবার নকআউটে মুখোমুখি হচ্ছে আগামীকাল। শেষবারের মতো এবারও কি ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়াবে, নাকি ৯০ মিনিট বা অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে মীমাংসা হবে?

আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের কথায় মনে হতে পারে প্রশ্নটাই অবান্তর। ম্যাচের কোন সময়ে গোল এল, খেলায় ফল হলো না টাইব্রেকারে জয় এল—এসব বড় ব্যাপার নয়।

ম্যাক অ্যালিস্টারের কাছে বড় ব্যাপার সেমিফাইনালে ওঠার জন্য জয় পাওয়াটা, ‘আমরা জানি নেদারল্যান্ডস খুব শক্ত প্রতিপক্ষ। দুই দলের অতীতের লড়াইও এমনটাই বলছে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে জিততে হবে। হোক সেটা ৯০ মিনিটে, ১২০ মিনিটে বা টাইব্রেকারে। জেতাটাই আসল।’

বিশ্বকাপে এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো মুখোমুখি হচ্ছে আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস। আগের পাঁচবারে দুটিতে জিতেছে ডাচরা, একটিতে আর্জেন্টিনা। ড্র হয়েছে বাকি দুটি। এর মধ্যে ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল অতিরিক্ত সময় শেষেও গোলশূন্য থাকায় টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। যেখানে জিতে ফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা।

Also Read: ব্রাজিলের সংবাদ সম্মেলনে টেবিলের ওপরে চড়ে বসা বিড়ালটি কি অভিশাপ

ব্রাজিলের মাটিতে তৃতীয় হওয়া নেদারল্যান্ডস ২০১০ বিশ্বকাপে স্পেনের বিপক্ষে ফাইনাল খেলে রানার্সআপ হয়েছিল। টানা দুটি বিশ্বকাপে শেষ চারে উঠলেও ২০১৮ বিশ্বকাপে দর্শক হয়ে থাকতে হয়েছে দলটিকে। আটকে গিয়েছিল ইউরোপের বাছাইপর্বে।

এবার কাতার বিশ্বকাপে ফেরার পর ছন্দে আছে লুই ফন গালের দল। গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থাকা চার দলের একটি নেদারল্যান্ডস।

এমন দলের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল লড়াই বেশ জমজমাট হবে বলে মনে করছেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি, ‘নেদারল্যান্ডস খুবই ভারসাম্যপূর্ণ দল। সবাই রক্ষণ সামলায়, সবাই আক্রমণ করে। এখনকার ফুটবল যেমনটা হয়ে থাকে। আগামীকালের ম্যাচটি দেখার মতো হবে। কারণ, দুই দলই রক্ষণ, আক্রমণ—দুই দিকেই মনোযোগ দেয়।’