Thank you for trying Sticky AMP!!

জন্মভূমির বিপক্ষে গোল উদ্‌যাপন করেননি ব্রিল এমবোলো

ক্যামেরুন হেরে গেল তারই সন্তানের গোলে

সুইজারল্যান্ড–ক্যামেরুন ম্যাচটি ব্রিল এমবোলোর জন্য একটু অন্যরকমই ছিল। সুইজারল্যান্ডের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড এমবোলোকে যে খেলতে হয়েছে তাঁর জন্মভূমির বিপক্ষে। শুধু যে খেলতেই হয়েছে, তা নয়। আজ ক্যামেরুনের বিপক্ষে সুইজারল্যান্ডের জয়ের নায়কও এমবোলোই। তাঁর একমাত্র গোলেই যে ক্যামেরুনকে ১–০ গোলে হারিয়েছে সুইসরা।

১৯৯৭ সালে ক্যামেরুনের রাজধানী ইওয়ান্দেতে জন্ম এমবোলোর। স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে ৫ বছর বয়সী ছেলে এমবোলোকে নিয়ে ফ্রান্সে পাড়ি জমায় তার মা।

পৃথিবীর অন্যতম জাঁকজমকপূর্ণ দেশটিতেও থিতু হতে পারেননি এমবোলোর মা। পরের বছরই এমবোলোদের ঠাঁই হয় সুইজারল্যান্ড। বাসেলে বসতি গাড়েন এমবোলোর মা। সেখানেই ফুটবলে ‘পায়েখড়ি’!

২০১৪ সালে সুইজারল্যান্ডের নাগরিকত্ব পান এমবোলো। এবার তাঁকে এবং তাঁর মাকে ঠাঁই দেওয়া সেই দলকে ফুটবল মহাযজ্ঞে জয় এনে দিতে এমবোলো হৃদয় ভাঙলেন নিজের জন্মভূমির হাজার হাজার মানুষের! তবে ক্যামেরুনিয়ানদের তিনি সম্মান জানালেন গোলটির পর উদ্‌যাপন না করে!

Also Read: মেক্সিকো–পোল্যান্ড ড্রয়ে আর্জেন্টিনার বিপদ কি বাড়ল

জয়ের পর সুইস খেলোয়াড়দের উদ্‌যাপন

ক্যামেরুনের অর্ধে বল পেয়ে গ্রানিত জাকা পাস দেন বক্সের ডানদিকে থাকা জেরদান শাকিরিকে। সেখান থেকে ক্রস করেন বক্সের বাঁ দিকে থাকা এমবোলোর উদ্দেশে। গোলটি না করে এমবোলোর কোনো উপায়ই ছিল না! তাঁর সামনে যে তখন শুধুই ক্যামেরুনের গোলকিপার আন্দ্রে ওনানা। তিনি নিজের ডান দিকে ঝাঁপ দিলেন আর এমবোলো বল মারলেন তাঁর বাঁ দিকে।

এমবোলোর এ গোলটি ছাড়া সুইজারল্যান্ড-ক্যামেরুন ম্যাচে বলার মতো ঘটনা খুবই কম। বেশির ভাগ সময় দুই দলই এলোমেলো ফুটবল খেলেছে। ম্যাচটি যদি ব্রাজিলের কোচ তিতে দেখে থাকেন, তাহলে গ্রুপপর্ব নিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে থাকবেন এই ভেবে যে, খুব শেষ ষোলোতে উঠতে খুব বেশি ধকল তাঁর দলকে পোহাতে হবে না!

Also Read: যে ৪ কারণে হারল আর্জেন্টিনা

গোলে নেওয়া শট আর লক্ষ্যে রাখতে পারা শট মিলিয়ে সুইজারল্যান্ডের চেয়ে ক্যামেরুন কিছুটা হলেও এগিয়ে ছিল ম্যাচে। দেশটির সাবেক ফুটবলার রিগোবার্ট সংয়ের কোচিংয়ে অনেক দিন থেকেই ভালো ফুটবল খেলছে ক্যামেরুন।

গোলের পর এমবোলোদের উচ্ছ্বাস

এর ধারাবাহিকতা ছিল সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেও। বিশেষ করে প্রথমার্ধে সুযোগ তৈরি করার দিক থেকে এগিয়ে ছিল ক্যামেরুনই। সবচেয়ে সহজ সুযোগটি রায়ান এমবেউমো ‘স্বার্থপরতার’ কারণে হারিয়েছে তারা।

বক্সের বাঁ প্রান্তে বল পেয়েছিলেন ব্রেন্টফোর্ডের ফরোয়ার্ড। সহজেই তিনি বল দিতে পারতেন বক্সের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মতিংকে। কিন্তু সেটা না দিয়ে তিনি শট নিলেন গোলে। বল গিয়ে সোজা পড়েছে সুইস গোলকিপার ইয়ান সোমারের হাতে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে সোমার সুইজারল্যান্ডকে বাঁচিয়েছেন মার্তিন হোংলাকে গোলবঞ্চিত করে।

দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচের চিত্রটা তেমন পাল্টায়নি। এ অর্ধে গোল পাওয়ার পর অবশ্য ক্যামেরুনের রক্ষণে আক্রমণের একটু ঢেউ তোলে সুইসরা। সবচেয়ে ভালো সুযোগটি তারা পায় ৮৭ মিনিটে। কিন্তু গোলকিপার ওনানাকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন জাকা। যোগ করা সময়ে একই কাজ করেন বদলি হিসেবে নামা হারিস সেফেরোভিচ।