Thank you for trying Sticky AMP!!

২০১৫ সালের ১৯ মার্চ হংকংয়ে একটি নিলামের আগে অ্যালেন টুরিংয়ের নোটবই দেখানো হচ্ছে। পেছনে টুরিংয়ের ছবি

আজ অ্যালেন টুরিংয়ের জন্মদিন

২৩ জুন ১৯১২

কম্পিউটারবিজ্ঞানের জনক অ্যালেন টুরিং ১৯১২ সালের ২৩ জুন যুক্তরাজ্যের লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। টুরিং ধারণা দিয়েছিল এমন একটি যন্ত্র তৈরি হবে, যা চিন্তার প্রক্রিয়া বাইনারি সংখ্যা দিয়ে করতে পারবে।

২৩ জুন ২০০৫

সামাজিক সংবাদ, বিভিন্ন আধেয়র তালিকা (কনটেন্ট রেটিং) তৈরি ও নানা বিষয়ের আলোচনা করার সুযোগ নিয়ে চালু হয় মার্কিন ওয়েবসাইট রেডিট ডটকম।

২৩ জুন ১৯১২
অ্যালেন টুরিংয়ের জন্মদিন
কম্পিউটারবিজ্ঞানের জনক ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি বাহিনীর গোপন বার্তার সংকেত পুনরুদ্ধার দলের অন্যতম সদস্য অ্যালেন টুরিং ১৯১২ সালের ২৩ জুন যুক্তরাজ্যের লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। এমন একটি যন্ত্র তৈরি হবে, যা চিন্তার প্রক্রিয়া বাইনারি সংখ্যা দিয়ে করতে পারবে। টুরিংয়ের এই ধারণা অনেকগুলো ০ ও ১-এর সমন্বয়ের ওপর ভিত্তি করে ছিল, যা দিয়ে নির্দিষ্ট কোনো সমস্যার সমাধান বা কাজটি সম্পন্ন করবে এই যন্ত্র। সেই যন্ত্রই আজকের কম্পিউটার। তাই গণিতজ্ঞ অ্যালেন টুরিংকে বলা হয়ে থাকে ‘কম্পিউটারবিজ্ঞানের জনক’। একই সঙ্গে তাঁকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক হিসেবেও গণ্য করা হয়।

টুরিং বেশি পরিচিতি পেয়েছেন ইউনিভার্সাল কম্পিউটারের ধারণা দেওয়ার জন্য। একটি কম্পিউটার যেকোনো প্রোগ্রাম চালাতে পারবে, এ ধারণা ছিল তাঁর। এটি ‘টুরিং যন্ত্র’ নামেও পরিচিত।
অ্যালেন টুরিং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান বাহিনীর গোপন বার্তার সংকেত উদ্ধার করে যুক্তরাজ্যসহ মিত্রবাহিনীকে যুদ্ধ জয়ে সহায়তা করেছিলেন। ‘এনিগমা প্রজেক্ট’-এর মাধ্যমে গোপন সাংকেতিক বেতারবার্তার পুনরুদ্ধার করে শত্রুপক্ষের উদ্দেশ্য মিত্রবাহিনীকে জানাতে সহায়তা করতেন অ্যালেন টুরিং। তাঁর সূত্র মেনে ব্লেচলি পার্কে এনিগমা যন্ত্র তৈরি হয়েছিল। আর সেখানে টুরিংসহ একদল প্রকৌশলী, গণিতবিদ গোপন বার্তার পাঠোদ্ধার করার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। পাশাপাশি এনিগমা দিয়ে মিত্রবাহিনীর বার্তা বিশেষ সংকেতে  (এনক্রিপশন) রূপান্তর করে পাঠানো হতো। যে সংকেত পাঠোদ্ধার করা যেত না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর বিজয়ে টুরিংয়ের অবদান অনেকখানি।

টুরিংয়ের জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘দ্য ইমিটেশন গেম’ ২০১৪ সালে মুক্তি পায়। তিনি ‘অফিসার অব দ্য অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার’ ও ‘ফেলো অব দ্য রয়েল সোসাইটি’ স্বীকৃতি পেয়েছেন।  ১৯৬৬ সালে এসিএম (অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটিং মেশিনারি) অ্যালেন টুরিংয়ের নামে ‘টুরিং অ্যাওয়ার্ড’ প্রবর্তন করে। কম্পিউটার জগতে কারিগরি অবদান রাখার জন্য প্রতিবছর একজনকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। কম্পিউটারবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এটি সর্বোচ্চ পুরস্কার। নোবেল পুরস্কারের সমতুল্য ধরা হয় এটিকে।
কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক পরিস্থিতির কারণে ১৯৫৪ সালের ৭ জুন সায়ানাইডভরা আপেল খেয়ে আত্মহত্যা করেন।

Also Read: মাইক্রোসফট আনল দুই বোতামের মাউস

২৩ জুন ২০০৫
রেডিট চালু
সামাজিক সংবাদ, বিভিন্ন আধেয়র তালিকা (কনটেন্ট রেটিং) তৈরি ও নানা বিষয়ের আলোচনা করার সুযোগ নিয়ে চালু হয় মার্কিন ওয়েবসাইট রেডিট ডটকম। বিশেষায়িত এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিবন্ধিত হয়ে ব্যবহারকারী রেডিটে কোনো কিছুর ওয়েব লিংক, লিখিত পোস্ট, ছবি ও ভিডিও দিতে পারেন। এরপর ব্যবহারকারীদের ভোটের ভিত্তিতে এসব আধেয় রেডিট সাইটে তালিকার ওপরে ওঠে বা নিচে নামে।

স্টিভ হফম্যান, অ্যালেক্সিস ওহানিয়ান ও আরন সোয়ার্টজ ২০০৫ সালের ২৩ জুন ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোতে রেডিট প্রতিষ্ঠা করেন। রেডিটের মূল প্রতিষ্ঠানের নাম অ্যাডভান্স পাবলিকেশন্স। বর্তমানে পাঁচটি স্থানে রেডিটের কার্যালয় রয়েছে। চলতি মাস পর্যন্ত হিসাবে রেডিটের কর্মীসংখ্যা দুই হাজার। এখন বিশ্বব্যাপী রেডিটের ব্যবহারকারীর সংখ্য ১৬৬ কোটি ৬০ লাখ। ২০২২ সালে ৩৮ দশমিক ৯১ শতাংশ ব্যবহারকারীা বেড়েছে রেডিটের।

রেডিটের প্রোগ্রাম লেখা হয়েছে পাইথন ও জাভাস্ক্রিপ্টে।

সূত্র: কম্পিউটার হিস্ট্রি ডটওআরজি, কম্পিউটার হোপ, উইকিপিডিয়া

Also Read: ‘আই লাভ ইউ’, যে কম্পিউটার ভাইরাসে ক্ষতি হয়েছিল ১৫০০ কোটি ডলার