‘আই লাভ ইউ’, যে কম্পিউটার ভাইরাসে ক্ষতি হয়েছিল ১৫০০ কোটি ডলার


২০০০ সালের ৪ মে মাসে তৈরি হয়েছিল ‘ILOVEYOU’ বা লাভ বাগ নামের পৃথিবীর অন্যতম ভয়ংকর ই-মেইল ভাইরাস। ফিলিপাইনের ২৪ বছর বয়সী ছাত্র ওনেল ডি গুজম্যান এটি তৈরি করেছিলেন।

২৩ বছর আগে ছড়িয়ে ছিল ভয়ংকরতম ভাইরাসসিএনএন

ফিলিপাইনে তৈরি হয় ভয়ংকর ভাইরাস ‘আই লাভ ইউ’
২০০০ সালের ৪ মে মাসে তৈরি হয়েছিল ‘ILOVEYOU’ বা লাভ বাগ নামের পৃথিবীর অন্যতম ভয়ংকর ই-মেইল ভাইরাস। ফিলিপাইনের ২৪ বছর বয়সী ছাত্র ওনেল ডি গুজম্যান এটি তৈরি করেছিলেন। ৫ মে সকাল থেকে এটি ছড়াতে থাকে ইন্টারনেটে, ই-মেইলের মাধ্যমে। প্রথমে ফিলিপাইন, তারপর হংকং, ইউরোপ এবং সবশেষে যুক্তরাষ্ট্রে। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমচালিত এক কোটিরও বেশি কম্পিউটার আক্রান্ত হয়েছিল। এই ভাইরাস যে ই-মেইলে গিয়েছিল, সেটির বিষয় হিসেবে লেখা ছিল ILOVEYOU। এর সঙ্গে ‘LOVE-LETTER-FOR-YOU.TXT.vbs’ নামের একটি সংযুক্ত ফাইল থাকত। ফাইলটিতেই ছিল ভাইরাস, যা প্রথমে কম্পিউটার অকার্যকর করত। বিভিন্ন ফাইল নতুন করে লিখে দিত। ভাইরাসটি নিজে নিজেকে কপি করে ছড়িয়ে পড়ত। মাইক্রোসফট আউটলুকে থাকা সব ঠিকানায় নিজে নিজেই ই-মেইল পাঠাত।
ভালোবাসার ছদ্মবেশে এই ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৫৫০ থেকে ৮৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। পরে ভাইরাসটি সাফসুতরো করতে এ খরচ গিয়ে দাঁড়ায় আনুমানিক ১ হাজার ৫০০ কোটি (১৫ বিলিয়ন) ডলারে। এর কারণে সে সময়ে পেন্টাগন, সিআইএ, ব্রিটিশ পার্লামেন্টসহ বিশ্বের বড় প্রায় সব করপোরেট প্রতিষ্ঠান তাদের ই-মেইল সিস্টেম বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিল।
ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার কাছেই এই ভাইরাস তৈরি করে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন ওনেল ডি গুজম্যান। সে সময় ফিলিপাইনে তখন ম্যালওয়্যার বা কম্পিউটার ভাইরাস তৈরি ও ছড়িয়ে দেওয়ার শাস্তি দিতে কোনো আইন ছিল না। পরে ২০০০ সালের জুলাইতে এ–সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করে ফিলিপাইন কংগ্রেস। যা ই-কমার্স আইন নামে পরিচিত।

কমোডর পিসির প্রথম যুগে জনপ্রিয় ছিল কমোডর কম্পিউটার
সংগৃহীত

প্রথম দিককার কম্পিউটার নির্মাতা কমোডর বিক্রি হয়ে যায়
প্রযুক্তিজগতে প্রথম দিককার সাড়া জাগানো পারসোনাল কম্পিউটার (পিসি) নির্মাতা ছিল কমোডর ইলেকট্রনিকস লিমিটেড। ১৯৯৫ সালের ৪ মে এক কোটি ডলারে কমোডর কিনে নেয় জার্মান এক প্রতিষ্ঠান। এসকম এজি নামের প্রতিষ্ঠানটি কমোডরের নাম, পেটেন্ট এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ কিনে নেয়।
১৯৯৪ সালে কমোডর তাদের কম্পিউটার উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। এ সময় তারা দেউলিয়াও হয়ে যায়। এসকম এজি কমোডরের তৈরি সেই সময়ের নতুন পিসি ‘দ্য অ্যামিগা’-সহ অন্য পিসিগুলো পুনরায় উৎপাদন করতে চেয়েছিল। কিন্তু খুব একটা সাফল্য আসেনি। এসকম এজি পরবর্তী সময় দ্য অ্যামিগার স্বত্বও বিক্রি করে দেয়।
সূত্র: কম্পিউটারহিস্ট্রি ডটওআরজি, কম্পিউটার হোপ, উইকিপিডিয়া