Thank you for trying Sticky AMP!!

'ইরানের ওপর যে আক্রমণ করবে, তাকেই প্রতিহত করা হবে'

মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি। ছবি: এএফপি

সৌদি আরবে মার্কিন সেনা পাঠানোর ঘোষণা আসার ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি হুমকির সুরে বলেছে, ইরানের অভ্যন্তরে কোনো প্রকার হামলা তারা বরদাশত করবে না। আক্রমণকারী যেকোনো দেশকে ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে ইরান।

ইরানের এক সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করা সেই সামরিক কর্মকর্তা হুমকির সুরে বলেছেন, ‘ইরানের ব্যাপারে সতর্ক থাকো। কোনো ভুল কোরো না।’

সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের নাম না নিলেও প্রচ্ছন্নভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একপ্রকার হুমকিই দিয়েছেন ইরানের সেনা কর্মকর্তা ও ইরানিয়ান রেভল্যুশনারি গার্ডসের কমান্ডার-ইন-চিফ মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি। ইরানের মাটিতে হামলা করার সাহস যেন কেউ না দেখায়, সে ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। রাজধানী তেহরানে এক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে ইরানের গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘যেকোনো ধরনের আগ্রাসন ঠেকাতে আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। আমরা কখনোই বহির্বিশ্বের কোনো দেশকে ইরানে ঢুকে যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি করতে দেব না। ইরানের ওপর যে আক্রমণ করবে, তাকেই প্রতিহত করা হবে। আক্রমণকারীকে সম্পূর্ণ ধ্বংস না করা পর্যন্ত আমরা থামব না।’

১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হামলা চালানো হয়। এরপর সৌদি আরবের তেল স্থাপনাগুলো হামলা থেকে রক্ষার জন্য আজ শনিবার সেখানে সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপের সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা’ হিসেবে সৌদি আরবে মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হবে। আরামকোর সবচেয়ে বড় তেল পরিশোধনাগার আবকায়িক ও খুরাইস এলাকায় এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। তবে কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি ও গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, ইরানই ওই হামলার জন্য দায়ী। সৌদি আরবও হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে। যদিও তেহরান ওই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, ‘ইয়েমেনের জনগণ তাদের প্রতিরক্ষামূলক বৈধ অধিকার প্রয়োগ করছে।’

আরও পড়ুন:
সৌদির তেল রক্ষায় সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র