ইউক্রেন থেকে দিনে একটি শস্যবোঝাই জাহাজ ছাড়বে, আশা তুরস্কের
চুক্তি বহাল থাকলে ইউক্রেনের বন্দরগুলো থেকে প্রতিদিন একটি করে শস্যবোঝাই জাহাজ ছেড়ে যাবে। আজ মঙ্গলবার তুরস্কের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন। আগের দিন সোমবার যুদ্ধকালীন প্রথম জাহাজটি নিরাপদে ওদেসা বন্দর ছেড়ে যায়। খবর রয়টার্সের
‘রাজোনি’ নামের জাহাজটি ২৬ হাজার ৫২৭ টন ভুট্টা নিয়ে লেবাননের উদ্দেশে রওনা হয়। বাণিজ্যবিষয়ক তথ্যের জন্য পরিচিত রেফিনিটিভ এইকোন-এর তথ্য অনুযায়ী, গ্রিনিচ মান সময় ৭টা ১৪ মিনিটে জাহাজটি রোমানিয়ার দানিউব ডেল্টায় কৃষ্ণসাগরের পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূল অতিক্রম করছিল।
জাহাজটি তুরস্কের জলসীমার পথে অর্ধেকের কাছাকাছি ছিল। সেখানে আগামীকাল বুধবার জাহাজ তল্লাশি করে দেখা হবে।
তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় গত মাসে শস্য ও সার রপ্তানি নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চুক্তি হওয়ায় এই জাহাজ চলাচল সম্ভব হয়েছে। চলমান সংঘাতে এই চুক্তিকে বিরল কূটনৈতিক সফলতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই সংঘাত এখন দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে পরিণত হয়েছে।
Also Read: ইউক্রেনের বন্দর ছাড়ল শস্যবাহী প্রথম জাহাজ
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় এই খাদ্যশস্য উৎপাদনকারী দেশ থেকে শস্য রপ্তানির উদ্দেশ্য হলো বৈশ্বিক খাদ্যসংকট কমিয়ে আনা।
চুক্তিতে ওদেসাসহ ইউক্রেনের আরও দুটি বন্দর অন্তর্ভুক্ত ছিল। তুরস্কের জ্যেষ্ঠ ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, প্রতিদিন একটি জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। তিনি বলেন, ‘যদি অস্বাভাবিক কিছু না ঘটে, কিছু সময়ের জন্য দিনে একটি করে জাহাজের মাধ্যমে রপ্তানিকাজ চলবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তা বলেন, ‘কারিগরি ত্রুটির’ কারণে ‘রাজোনি’ ছেড়ে যেতে দুই দিন দেরি হয়েছিল। তবে ওই ত্রুটি এখন সারানো হয়েছে। নিরাপদ চলাচলের করিডর ঠিকভাবে কাজ করবে বলেও আশা করছে ন্যাটো সামরিক জোটের সদস্য তুরস্ক।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার দিনের শুরুতে ‘রাজোনি’ তুরস্কের উপকূলে পৌঁছাবে। পরে সেখানে তল্লাশি চালানো হবে। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবেন রাশিয়া, তুরস্ক, ইউক্রেন ও জাতিসংঘের কর্মকর্তারা।
ইস্তাম্বুলে স্থাপিত যৌথ সমন্বয় কেন্দ্রের (জেসিসি) মাধ্যমে চার পক্ষ শস্যের চালান পর্যবেক্ষণ ও তল্লাশির কাজটি করবে। কৃষ্ণসাগরের সঙ্গে বিশ্ববাজারকে যুক্ত করা বসফরাস প্রণালিতে জেসিসি দপ্তরের অবস্থান। শস্য চালানের বিষয়ে গ্রিনিচ মান সময় আটটায় হালনাগাদ তথ্য জানাবে জেসিসি।