Thank you for trying Sticky AMP!!

বিস্ফোরণে ঘুম ভাঙল কিয়েভবাসীর, রাশিয়াকে ‘শুভ সকাল’ বললেন ইউক্রেনীয় রাজনীতিক

রাশিয়ার আগের হামলাগুলোয় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কেন্দ্রস্থলে তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইরানের তৈরি বেশ কয়েকটি শাহেদ ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। আর খুব সকালে এই হামলা চালানোয় রাশিয়াকে খোঁচা দিয়ে ‘শুভ সকাল’ জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় এক রাজনীতিক। খবর আল-জাজিরার

কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকো বলেন, ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে ১০টি ইরানি শাহেদ ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। মধ্যাঞ্চলীয় শেভচেনকিভস্কি এলাকায় জরুরি পরিষেবা বিভাগের সদস্যদের পাঠানো হয়েছে।

Also Read: ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দেওয়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র

‘বিস্তারিত পরে জানানো হবে’ বলেও নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে লিখেন ভিতালি ক্লিৎসকো। তাঁর দাবি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।

নগর প্রশাসন জানিয়েছে, ড্রোন হামলা দুটি প্রশাসনিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্ভাব্য হতাহতের কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি বলেও তারা জানিয়েছে।

ইউক্রেনীয় রাজনীতিক ওলেক্সি গনচারেঙ্কো টুইটারে লিখেন, আজ বুধবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান তিনি।

এর আগে ৫টা ৫৫ মিনিটের দিকে বিমান হামলার সাইরেন বাজানো হয়। সবকিছু স্পষ্ট না হওয়া পর্যস্ত বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার আহ্বান জানানো হয়।

গনচারেঙ্কো লেখেন, ‘ঘড়ির অ্যালার্মের শব্দে ইউক্রেনীয়দের ঘুম ভাঙে না, বরং বিস্ফোরণের শব্দে ভাঙে। প্রতিবেশী রাশিয়াকে ধন্যবাদ! শুভ সকাল!’

Also Read: রুশ হামলায় কিয়েভের অর্ধেক মানুষ এখনো বিদ্যুৎহীন

এমন সময় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল, যখন রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ভূপাতিত করতে আরও উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহে মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে ইউক্রেন। ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় দেশটির জ্বালানি অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে মারাত্মক বিদ্যুৎ-সংকটে পড়ে তীব্র শীতের মধ্যেই দিন কাটাতে হচ্ছে লাখো বাসিন্দাকে।

এদিকে, ইউক্রেনের জন্য অত্যাধুনিক প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পাঠানোর পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র। কিয়েভের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে অনুরোধের পর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।