Thank you for trying Sticky AMP!!

বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরলেন মুকুল রায়

বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে বসে সংবাদ সম্মেলন করেন মুকুল রায়। ১১ জুন, কলকাতার তৃণমূল ভবনে

পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য একটি দিন ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি। ওই দিন জাতীয় কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে তৃণমূল কংগ্রেস নামে নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন দল গড়ার অন্যতম কান্ডারি ছিলেন মুকুল রায়। এরপরের ইতিহাস সবার জানা। পরবর্তী দুই দশকে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন মুকুল। দলে মমতার পরেই তাঁর জায়গা। তবে মমতা–মুকুল জুটিতেও আসে ভাঙন। বনিবনা না হওয়ায় তৃণমূল ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) পতাকা হাতে তুলে নেন মুকুল। এবার সেটাও ছাড়লেন তিনি। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলেন। মমতার হাত ধরে আবারও তৃণমূলের পতাকাতলে রাজনৈতিক যাত্রা হলো মুকুলের।

আজ শুক্রবার বিকেলে কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য দপ্তর তৃণমূল ভবনে মুকুল রায়কে আবারও দলে টেনে নিলেন মমতা। পাশাপাশি বসে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানালেন ঘরের ছেলের ঘরে ফেরার খবর। মমতা বলেন, মুকুল রায় তৃণমূল পরিবারের সদস্য ছিলেন। আজ তিনি নিজের ঘরে ফিরতে পেরে শান্তি পেলেন।
পশ্চিমবঙ্গে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মমতার তৃণমূলের কাছে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। নরেন্দ্র মোদি–অমিত শাহের ক্যারিশম্যাটিক জুটি মমতার রাজনীতির কাছে পাত্তা পায়নি। ভোটের আগে অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। এখন অনেকেই ঘরে (তৃণমূলে) ফিরতে চাইছেন। এই তালিকায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নাম মুকুল রায়।

তবে মমতা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একটি কথাও খরচ করেননি মুকুল। তাই তৃণমূল আজ তাঁকে পরিবারের সদস্য হিসেবে ফিরিয়ে এনেছে। তবে যারা বিজেপিতে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়েছে, নিন্দা করেছে, তাদের ফেরানো হবে না।

মমতার পাশে বসে মুকুল রায় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বিজেপিতে কাজ করার মতো সুযোগ ছিল না। তাই পুরোনো দলে ফিরে এলাম। খুব ভালো লাগছে। বাংলা আবার নিজের জায়গায় ফিরবে। তৃণমূল আরও জোরদার হবে মমতার নেতৃত্বে।’

২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর মুকুল তৃণমূল ছেড়ে যান। ওই সময় তিনি দলটির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। একই বছরের ৩ নভেম্বর তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। ২০২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মুকুল বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি হন। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মুকুল নদীয়ার কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। জয়ও পেয়েছেন।

মুকুলের পাশাপাশি এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায় বিজেপির হয়ে লড়েছেন। যদিও উত্তর চব্বিশ পরগনার বীজপুর আসনে হেরে যান শুভ্রাংশু। আজ তৃণমূলে যোগদানের আয়োজনে মুকুলের পাশে শুভ্রাংশু ছিলেন। আর মমতার পাশে ছিলেন তৃণমূলের তরুণ মুখ ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Also Read: একমাত্র লক্ষ্য মোদিকে হটানো: মমতা

Also Read: ২০ বছরে মন্ত্রিত্ব না নেওয়ার ঘোষণা অভিষেকের

Also Read: মমতার নেতৃত্ব নিয়ে মোদিবিরোধীদের হিসাব-নিকাশ