Thank you for trying Sticky AMP!!

শেখ শাহজাহানকে গত সোমবার পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বিশেষ আদালতে তোলার সময়ের

পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালীর সেই শাহজাহানকে নিয়ে ইডির নতুন তথ্য

ভারতের আর্থিক দুর্নীতি-সংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কর্মকর্তারা পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালীতে গ্রেপ্তার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহানকে নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছেন।

কলকাতার একটি আদালতে লিখিত আবেদনে তাঁরা বলেছেন, শাহজাহান মাছের ব্যবসা থেকে লাভ হওয়া অর্থ সরিয়ে নিতে ১০টি ভুয়া কোম্পানিকে ব্যবহার করেছিলেন। স্থানীয় কৃষকদের জমি দখল করে শাহজাহান এবং তাঁর সহযোগীরা ওই মাছের ঘের চালাচ্ছিলেন।

ইডির আইনজীবী গত সোমবার আদালতে জানান, শেখ শাহজাহান ভেড়ি ও মাছের ব্যবসার নামে ভুয়া ১০টি কোম্পানি খুলে ১৩৭ কোটি রুপি তাঁর নিজের হিসাবে নিয়েছেন। এর মধ্যে আবার ম্যাগনাম স্পোর্টস নামের একটি সংস্থা থেকেও এসেছে ১০৪ কোটি রুপি। সব টাকাই শেখ শাহজাহানের। আর এই কাজে শাহজাহানের অংশীদার ছিলেন অরূপ কুমার সোম নামের এক ব্যবসায়ী। তাঁর একটি কোম্পানির মাধ্যমেও শাহজাহানের কাছে এসেছে ৩৩ কোটি রুপি।

Also Read: পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালীর আলোচিত সেই শাহজাহান গ্রেপ্তার

ইডি দাবি করেছে, শেখ শাহজাহান ভেড়ি ও মাছের ব্যবসার নামে বিদেশে অর্থ পাচার, মাদক পাচার, মানব পাচার, নারী পাচার, জাল নোট পাচারের মতো বেআইনি বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আর এর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন।

ইডি এখন সেসব অর্থ আরও কারও কাছে গেছে কি না, তা তদন্ত করে দেখছে। ইডি আদালতে আরও বলেছে, তাদের মনে হয়েছে এই মাছ ব্যবসার নামে শাহজাহানরা অন্তত ৫০০ কোটি রুপির দুর্নীতি করেছেন। তাই এখন সেসব তথ্য তদন্ত করে দেখছে ইডি।

এদিকে শাহজাহানের নামে কলকাতার আদালতে ইডি এই অভিযোগ তোলার পর গতকাল মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, শাহজাহান নিজেকে লুকিয়ে মাছ ব্যবসার নামে এই রাজ্যে নারী পাচার, জাল নোট পাচার, মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে কলকাতা বন্দরে ধরা পড়া ২০০ কোটি রুপির মাদক পাচারের সঙ্গে শাহজাহান জড়িত বলে অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার ও জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। ওই মাদকের মধ্যে ছিল ৪০ কেজি হেরোইন। এই হেরোইন আনা হয়েছিল জাহাজের গিয়ার বক্স ও কনটেইনারে ভরে।
এ নিয়ে সেদিন বিজেপির নেতারা সোচ্চার হলে তাঁদের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করা হয়।

এই চালান এসেছিল শরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির ঠিকানায়। ঘটনার পর শরিফুল ইসলামের আর সন্ধান মেলেনি।