Thank you for trying Sticky AMP!!

খাসোগির মামলা সৌদি আরবে পাঠানোর আবেদন

সাংবাদিক জামাল খাসোগি

সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার ঘটনায় ইস্তাম্বুলের আদালতে চলমান মামলা বাতিলের আবেদন করেছেন তুরস্কের প্রসিকিউটর। সেই সঙ্গে মামলাটি সৌদি আরবে পাঠানোর আবেদন করা হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, তুরস্কের প্রসিকিউটর আজ বৃহস্পতিবারের শুনানিতে আদালতকে বলেন, এ মামলায় আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। কেননা, অভিযুক্তরা সবাই বিদেশি নাগরিক। এ কারণে তুরস্কের বিচার মন্ত্রণালয় মামলাটি সৌদি আরবে স্থানান্তরের আবেদন করেছে। আশা করা হচ্ছে, আদালত এই আবেদনে ইতিবাচক সাড়া দেবেন।

তবে ইস্তাম্বুলের আদালত এ বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি। আগামী ৭ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

Also Read: জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের বিচারে আঞ্চলিক রাজনীতির হিসাব

২০১৮ সালের ২ অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে গিয়ে খুন হয়েছিলেন ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক জামাল খাসোগি। সৌদি সরকার ও দেশটির রাজপরিবারের সমালোচনায় সোচ্চার খাসোগি সে সময় যুক্তরাষ্ট্রে থাকতেন। তুর্কি বাগ্‌দত্তাকে বিয়ে করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন তিনি।

Also Read: জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডে ফ্রান্সে সৌদি নাগরিক গ্রেপ্তার

খাসোগি হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে তুরস্ক ও সৌদি আরবের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে দূরত্ব দেখা দেয়। অনেকেই এ হত্যার পেছনে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সম্পৃক্ততার কথা বলে থাকেন। পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রতিবেদনেও এমন ইঙ্গিত করা হয়েছিল। অন্যদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ওই সময় প্রকাশ্যে বলেছিলেন, সৌদি আরব সরকারের ‘সর্বোচ্চ পর্যায়’ থেকে এ হত্যার নির্দেশ এসেছিল।

Also Read: খাসোগি হত্যাকাণ্ডে ভুল ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ফ্রান্স, দাবি সৌদি আরবের

সৌদি আরবের কাছে সহায়তা চেয়ে না পাওয়ায় আলোচিত এ হত্যার ঘটনায় নিজস্ব তদন্ত শুরু করে তুরস্ক। অবশেষে ২০২০ সালে তুরস্কের আদালতে ২৬ জন সৌদি নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। তাঁদের মধ্যে অন্তত দুজন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এখন মামলাটি সৌদি আরবে স্থানান্তর করতে চাইছে তুরস্ক।