Thank you for trying Sticky AMP!!

ইসরায়েলের হামলার মুখে বাস্তুচ্যুত হয়েছে গাজার প্রায় ১৯ লাখ বাসিন্দা। অস্থায়ী আশ্রয়শিবিরে অবস্থান নেওয়া এমনই এক শিশু পানি আনতে যাচ্ছে। শনিবার রাফা এলাকায়

গাজায় মা–বাবা থেকে বিচ্ছিন্ন ১৭ হাজার শিশু

ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান সংঘাতে বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আনুমানিক ১৭ হাজার শিশু। এ ছাড়া সংঘাতের কারণে উপত্যকাটির শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়ছে। গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এ তথ্য জানিয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে উপত্যকাটির শিশুরা। শুক্রবার ইউসেফের মুখপাত্র জোনাথন ক্রিক্স বলেন, গাজায় বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন শিশুদের প্রত্যেকেরই হৃদয় ভেঙে দেওয়ার মতো একটি করে গল্প রয়েছে।

Also Read: গাজা নিয়ে নিজস্ব নীতির সমালোচনা ইউরোপ-আমেরিকার ৮০০ সরকারি কর্মকর্তার

প্রায় চার মাস ধরে চলা হামলায় পুরো গাজাই তছনছ হয়েছে। উপত্যাকটিতে অবরোধ করে রেখেছে ইসরায়েল। এতে সেখানে দেখা দিয়েছে খাবার, পানি, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র সংকট। এমন পরিস্থিতিতে গাজার শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব পড়ছে।

Also Read: নদী থেকে সমুদ্র পর্যন্ত যা দেখছেন নেতানিয়াহু

সংঘাত শুরুর আগে গাজার পাঁচ লাখের বেশি শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যসহায়তার প্রয়োজন ছিল বলে জানিয়েছিল জাতিসংঘ। বর্তমান পরিস্থিতে জোনাথন ক্রিক্সের ভাষ্য, এখন গাজার সব শিশুর এ সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। এই সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। চলমান সংঘাতের সঙ্গে শিশুদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তারপরও তারা যে দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে—এমন পরিস্থিতিতে কোনো শিশুর থাকতে পারে না।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন। সেখান থেকে জিম্মি করা হয় প্রায় ২৪০ জনকে। সেদিন থেকেই গাজায় চলছে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৭ হাজার ২৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৬৬ হাজার ৪৫২ জন।

Also Read: নেতানিয়াহুকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন