চিলিতে দাবানলে অন্তত ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার এ দাবানলের শুরু। আজ রোববারও তা অব্যাহত আছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনেক ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। কোথাও কোথাও রাস্তায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
দাবানলের জেরে দেশটির মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক। শুষ্ক আবহওয়া ও উচ্চ তাপমাত্রা (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এ সংকটকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।
গতকাল স্থানীয় সময় বিকেলে হেলিকপ্টারে করে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল ঘুরে দেখেন বোরিক। পরে তিনি বলেন, দাবানলে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরে দগ্ধ আরও ছয়জনের প্রাণ গেছে। নিহত মানুষের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বোরিক।
এ ঘটনায় চিলির ভালপারাইসো পর্যটন অঞ্চলের ভিনা দেল মারসহ মধ্যাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকা ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে। ফলে ওই এলাকার বাসিন্দারা বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে গেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জ্বালানিসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল সরবরাহের জন্য উপদ্রুত এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। এ কারফিউ স্থানীয় সময় গতকাল রাত ৯টা থেকে বলবৎ হয়েছে। এ ছাড়া নতুন করে কিছু এলাকার মানুষকে ঘরবাড়ি ছাড়তে বলা হয়েছে।
Also Read: কলম্বিয়ায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যারোলিনা তোহা বলেন, দুপুর পর্যন্ত ৯২টি স্থানে দাবানলের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে সারা দেশের প্রায় ৪৩ হাজার হেক্টর জমি পুড়ে গেছে। অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা বিকেলের মধ্যে ৪০টি জায়গার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
Also Read: ব্রাজিলে ছোট আকারের বিমান বিধ্বস্তে নিহত ৭
আরও পড়ুন
-
চোখের সামনে সেদিনই প্রথম পিস্তল দেখেছি: ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতা
-
দেশের অর্থনীতিতে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের প্রভাব আসতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
-
ভোটে মুসলমান–জুজু কাজ হচ্ছে না, আদানি-আম্বানির কথা বলে কী সুবিধা চাচ্ছেন মোদি
-
এক সপ্তাহেই বুঝলেন রাজনীতি কঠিন, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন পানেসার
-
‘মা লো মা’ নিয়ে বিতর্ক: নেত্রকোনা নাকি ঢাকা, যা বলছেন সংশ্লিষ্টরা