Thank you for trying Sticky AMP!!

রিপাবলিকান প্রাইমারিতে ধরাশায়ী ট্রাম্পবিরোধী লিজ চেনি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান সদস্য লিজ চেনি

রিপাবলিকান প্রাইমারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প–সমর্থিত প্রার্থীর কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য লিজ চেনি। এই রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য নিজ দলের সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কড়া সমালোচক। ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প–সমর্থকদের ৬ জানুয়ারির হামলার ঘটনায় কংগ্রেসের তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। খবর রয়টার্সের।

মধ্যবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে ওয়াওমিং অঙ্গরাজ্যে গতকাল মঙ্গলবার রিপাবলিকান পার্টির এই প্রাইমারি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ট্রাম্প–সমর্থিত প্রার্থী হ্যারিয়েট হেগম্যানের কাছে পরাজিত হন চেনি।

Also Read: ট্রাম্প চাইলে রিপাবলিকান পার্টিকে ধ্বংস করে দিতে পারেন: সিনেটর গ্রাহাম

গত বছর ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় কয়েকজন রিপাবলিকান ট্রাম্পের অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। চেনির এই পরাজয়কে ওই আইনপ্রণেতাদের দলছাড়া করতে ট্রাম্পের প্রচেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

প্রার্থিতার দৌড়ে পরাজয় মেনে নিয়ে চেনি বলেন, প্রাইমারিতে জয়ের জন্য ‘২০২০ সালের নির্বাচন নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মিথ্যাচার মেনে নিতে’ তিনি ইচ্ছুক নন।

সমর্থকদের উদ্দেশে লিজ চেনি বলেন, ‘(প্রাইমারিতে জয়ের জন্য) প্রয়োজন ছিল আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে দুর্বল করতে এবং আমাদের প্রজাতন্ত্রের ভিত্তিকে আক্রমণে আমি ট্রাম্পের চলমান প্রচেষ্টায় যাতে শক্তি জোগাই। এই পথ আমি গ্রহণ করিনি এবং করবও না।’

রিপাবলিকান সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির মেয়ে লিজ চেনি। তিনি বলেন, ট্রাম্প গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। এডিসন রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, ৫৮ শতাংশ ভোট গণনায় দেখা যায়, রিপালিকানদের প্রার্থিতার দৌড়ে ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন হেগম্যান। চেনি পেয়েছেন ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ। রাজ্যের আইনপ্রণেতা অ্যান্থনি বাউচার্ড পেয়েছেন ২ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট।

Also Read: রিপাবলিকান দলে ভাঙনের আভাস

আলাস্কার সিনেটর লিসা মুরকোস্কির কপালেও কী ঘটতে যাচ্ছে, তা এখনো অস্পষ্ট। তিনিও ট্রাম্পের অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। গতকালের প্রাইমারিতে মুরকোস্কিও ট্রাম্প–সমর্থিত আরেক প্রার্থীর মুখোমুখি হন। ওই প্রাইমারির ভোটাভুটি এখনো শেষ হয়নি।

ওয়াইমিং ও আলাস্কা—উভয়ই রিপাবলিকানদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। তাই অঙ্গরাজ্য দুটির ফলাফলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাটরা কংগ্রেসে তাঁদের সামান্য ব্যবধানের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে কি না, এমন সম্ভাবনা কম। প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ফিরে পাওয়ার আশা করছেন রিপাবলিকানরা। সিনেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ারও সুযোগ আছে তাঁদের।