রিপাবলিকান দলে ভাঙনের আভাস

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এখনো ছয় মাস হয়নি। মধ্যবর্তী নির্বাচনের হাওয়াও বইতে শুরু করেনি। এর মধ্যেই ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যারা লড়তে চান, তাঁরা কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এ নিয়ে রিপাবলিকান নেতারা দুই ভাগে কাজ করছেন। একদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে, আরেকদিকে জেদি ট্রাম্পবিরোধী রক্ষণশীলদের মূল রিপাবলিকান দলীয় নেতারা।

দলটির নীতি নির্ধারকেরা এই দুই ধারাকে একই বৃত্তে ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দলের ভেতরের এই দুটি ধারাকে একই করে এগোনোর মধ্যেই আগামী নির্বাচনে সাফল্য দেখছে রিপাবলিকান দল।

এদিকে ২০২৪ সালের নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যে কয়েকজন রিপাবলিকান নেতাকে আইওয়া এবং নিউ হ্যাম্পশায়ারে ছোটাছুটি করতে দেখা যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এ দুটি অঙ্গরাজ্যে আগাম প্রাথমিক বাছাই হয়ে থাকে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাই এ দুটি অঙ্গরাজ্য থেকে নিজেদের নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের আরেকটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অধিকাংশ আমেরিকানই মনে করেন, ট্রাম্প একজন অথর্ব এবং বাজে প্রেসিডেন্ট ছিলেন

সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে এ মুহূর্তে কিছু স্পষ্ট পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে। ৭ এপ্রিল ‘আমেরিকার স্বাধীনতা’ স্লোগানে একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন মাইক পেন্স। এ প্ল্যাটফর্মে উপদেষ্টা বোর্ডে রয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মন্ত্রিপরিষদের বেশ কিছু সদস্য ও তাঁর অনুসারীরা।

আবার একই দিনে ‘সাইমুন অ্যান্ড শুস্টার’ নামে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় প্রকাশনা সংস্থা দুটি বই প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছে। যার একটি মাইক পেন্সের জীবনী গ্রন্থ।

গত মাসে পিউ রিসার্চ সেন্টারের একটি জাতীয় পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, প্রকাশ্যে ট্রাম্পের সমালোচনা করেন এমন নির্বাচিত নেতাদের দলে গ্রহণযোগ্যতা থাকবে, রিপাবলিকান দলের সিংহভাগ সদস্যই এমনটি চান না। দলের বাইরে, পুরো যুক্তরাষ্ট্রের চিত্র অবশ্য ভিন্ন।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের আরেকটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অধিকাংশ আমেরিকানই মনে করেন, ট্রাম্প একজন অথর্ব এবং বাজে প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

এ কারণে ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক খুব ভালো এমন কাউকে নিয়ে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল খুব একটা যে ভালো করতে পারবে সে আলামতও দেখা যাচ্ছে না।